১৯৭১ সালের ২৯ মার্চ মুক্তিযোদ্ধাদের খোঁজে গ্রাম পর্যায়েও অভিযান
প্রকাশিত : ১৮:০৮, ২৯ মার্চ ২০১৭ | আপডেট: ২০:৫২, ৪ এপ্রিল ২০১৭
আজ ২৯ মার্চ, ১৯৭১ সালের এইদিন মুক্তিযোদ্ধাদের খোঁজে গ্রাম পর্যায়েও পাকসেনারা অভিযান শুরু করে। জীবন বাঁচাতে উদ্বাস্তুরা দলে দলে যেতে শুরু করে ভারতে। তবে, বৃহত্তর ময়মনসিংহ, রাজশাহী এবং সিলেটে প্রথমবারের মত মুক্তিযোদ্ধাদের হামলায় উদ্বেগে পড়ে পাকবাহিনী।
১৯৭১ সালের ২৯ মার্চ। চট্টগ্রামে পাকবাহিনীর বহুমাত্রিক হামলায় মুক্তিসেনারা কৌশলগতভাবে দুর্গম অঞ্চলে পিছিয়ে যায়। তবে বরিশালের পেয়ারাবাগান থেকে মুক্তিযোদ্ধারা ফরিদপুরসহ সে এলাকার নদীবিধৌত অঞ্চল নিয়ন্ত্রণে রাখে। কুমিল্লা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়াতে গেরিলারা ভাল অবস্থায়, যশোর অঞ্চলেও মুক্তিযোদ্ধারা অগ্রগামী। রাজশাহীর চরাঞ্চলে মুক্তিসেনাদের প্রশিক্ষণের খবর আসে বিশ্বগনমাধ্যমে।সিলেটের চাবাগান এবং পুরো ময়মনসিংহে ২৯ মার্চ ছোট ছোট আক্রমনে মুক্তিযোদ্ধারা জানান দেয়, দেশের সব অঞ্চলেই মুক্তিসেনারা।
এরিমধ্যে শহর অঞ্চল ছাড়িয়ে পাকস্তানি বর্বরবাহিনী গ্রামে ঢুকে পড়েছে। ঢাকাসহ বিভিন্ন শহর ছেড়ে যারা নিরাপদ স্থান ভেবে গ্রামে চলে গিয়েছিল, সেখানেও নিরাপদ রইল না তারা। ২৫ মার্চ গণহত্যার পর থেকে দু-একটি করে পরিবার ভারত গেলেও মার্চের শেষদিকে প্রাণ বাঁচাতে দলে দলে সীমান্ত পার হতে শুরু করে।
দেশভাগের পর অনেক পরিবার-আত্মিয়স্বজন ভারত ও পাকিস্তান নাগরিক হলেও বাংলার দুই অংশের মানুষের যোগাযোগ ছিল নিত্যদিনের, পড়াশোনার জন্যও অনেকেই কোলকাতামুখী। ২৫ মার্চের পর গণহত্যার ভাসাভাসা খবরে উদ্বেগ ছিল পশ্চিম বাংলার মানুষদের। উদ্বাস্তুদের মাধ্যমে পাকবাহিনীর হত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞের প্রকৃত চিত্র জেনে পশ্চিমের বাঙালীরা স্বজনদের জন্য অজানা আশাঙ্কায় ছুটে আসে সীমান্তে। ভারতীয় সীমান্তরক্ষীরা তাদের পার হতে না দিলেও তা আবেগআপ্লুত মানুষের অসহায়ত্ব হিসেবেই সামনে আনে আন্তর্জাতিক গনমাধ্যম।