ঢাকা, শনিবার   ১১ জানুয়ারি ২০২৫

২০১৭ সালে যত মিথ্যা বলেছেন ট্রাম্প!

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৪:০৬, ২৬ ডিসেম্বর ২০১৭ | আপডেট: ১৪:১০, ২৬ ডিসেম্বর ২০১৭

প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই আলোচনা-সমালোচনার তুঙ্গে মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প। বাঁচাল চরিত্রের জন্য জনগণের সমালোচনার পাত্র হয়েছেন তিনি। বিশেষ করে বিশ্বের এই ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট যেসব কারণে বিশ্বব্যাপী কুখ্যাতি পেয়েছেন, তার একটি অনর্গল মিথ্যা বলার অভ্যাস।

২০১৭ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মুখ থেকে বেরিয়েছে এমন সব সমালোচিত শব্দমালা নিয়েই আজকের আয়োজন।

রোববার টিভি নেটওয়ার্ক এনবিসি নিউজ এবছর ট্রাম্পের মুখ থেকে বের হওয়া কয়েকটি মিথ্যার তালিকা প্রকাশ করেছে। সেখানেই উঠে এসেছে ট্রাম্পের কথার ফানুসের চিত্র।

 জানা যায়, ডোনাল্ড ট্রাম্প যে শব্দগুলি ব্যবহারের জন্য সমালোচিত হয়েছিলেন, তার  মধ্যে অন্যতম হলো সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার বিরুদ্ধে আঁড়ি পাতার অভিযোগ। প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পরই ডোনাল্ড ট্রাম্প অভিযোগ করেন, সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ট্রাম্প টাওয়ারে টেলিফোনে আঁড়ি পাতেন। তবে তার কোন সত্যতা পাওয়া যায়নি। তদন্ত কাজ শেষে দেশটির গোয়েন্দা সংস্থা একটি প্রতিবেদন দাখিল করে হোয়াইট হাউজে। সেখানে আাঁড়ি পাতার অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হয়।

এদিকে ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পরই ডেমোক্রেটিক পার্টি থেকে অভিযোগ তোলা হয় নির্বাচনের আগে ট্রাম্প রাশিয়া সফর করে দেশটির ঊর্ধতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। শুধু ডেমোক্রেটরাই নয়, গোয়েন্দা সংস্থা থেকেও এমন অভিযোগ তোলা হলে ট্রাম্প বলেন, গোপন সম্পর্কের বিষয়টি ‘মিথ্যা ও বানোয়াট। রাশিয়ার সঙ্গে তাঁর কোন কানেকশন নেই।

তবে তার নির্বাচনী প্রচার টিমের অন্যতম প্রধান ও দেশটির সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইকেল ফ্লিন রাশিয়া কানেকশনের বিষয়টি স্বীকার করেন। তিনি বলেন, ওয়াশিংটনে নিযুক্ত সাবেক রুশ রাষ্ট্রদূত সের্গেই কিসলিয়াকের সঙ্গে যোগাযোগের বিষয়ে এফবিআইকে `ইচ্ছাকৃত ও জ্ঞাতসারে` ভুয়া তথ্য দেন তিনি।

রাশিয়া কানেকশন নিয়ে তদন্তকারী দলের প্রধান রবার্ট মুলারের কাছে দেওয়া এ জবানবন্দির পরই ট্রাম্প বলেন, যেকোনো দেশের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের অধিকার যে কারো রয়েছে। তবে তা দেশবিরোধী না হলেই হয়।

এনবিসি জানায়, ট্রাম্পের মিথ্যা বলার শুরু হয়েছে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর দেওয়া প্রথম ভাষণ থেকেই। ওই ভাষণে ট্রাম্প দাবি করেন, তার শপথ অনুষ্ঠানে যত মানুষ উপস্থিত ছিল এর আগের কোনো প্রেসিডেন্টের শপথ অনুষ্ঠানে তত মানুষ উপস্থিত হননি।

ট্রাম্প দ্বিতীয় বড় মিথ্যাটি বলেছেন কংগ্রেস প্রতিনিধিদের কাছে। তিনি দাবি করেছেন, ২০১৬ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হিলারি ক্লিনটন লাখ লাখ জাল ভোট পেয়েছেন। অথচ এ ধরনের কোনো প্রমাণ আমেরিকার নির্বাচনী কর্তৃপক্ষ পায়নি। এমনকি তিনি ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের আর কোন রাজনৈতিক এমন অভিযোগ তুলেননি।

যুদ্ধবিধ্বস্ত বিভিন্ন দেশের অভিবাসীদের ইউরোপীয় দেশগুলো আশ্রয় দেয়ায়, ডোনাল্ড ট্রাম্প তাদের সমালোচনায় বলেন,‘আমাদের দেশকে নিরাপদ রাখতে হবে এবং এ রাতে জার্মানি ও সুইডেনে যা ঘটেছে তা থেকে শিক্ষা নিতে হবে।’ তবে সুইডেনের গণমাধ্যম জানায়, ওই রাতে সুইডেনে কোনো ঘটনাই ঘটেনি।

এদিকে কর দেওয়ার বিষয়ে ট্রাম্প দাবি করেন, বিশ্বের যে কোনো মানুষের চেয়ে আমরাই বেশি কর দিয়ে থাকি। কিন্তু কর বিশ্লেষকরা বলছেন, ট্রাম্পের এ হিসাব-নিকাশ যৌক্তিক নয়। যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে অধিক কর দিয়ে থাকে, এমন দেশের সংখ্যা বিশ্বে নেহায়েত কম নয়।

সূত্র: এনবিসি নিউজ

এমজে/

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি