২০১৭ সালের মতো বন্যা হলে বাঁধ ঠেকানো অসম্ভব: প্রতিমন্ত্রী
প্রকাশিত : ২২:০৭, ৩ এপ্রিল ২০১৯
সুনামগঞ্জে হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধের কাজ পরিদর্শন করেন পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক। আজ বুধবার দুপুরে জেলার জামালগঞ্জ উপজেলার পাগনার হাওরে।
সুনামগঞ্জে হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধের কাজ দেখে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক।
তিনি বলেছেন, এবার হাওরে বাঁধের কাজের মান গতবারের চেয়েও ভালো হয়েছে। কৃষকেরা যাতে আগাম বন্যার আগেই ফসল তুলতে পারে, সেটাই আমাদের লক্ষ্য। তবে ২০১৭ সালের মতো পাহাড়ি ঢল বা বন্যা হলে এসব বাঁধ ও ফসল ঠেকানো সম্ভব না।
আজ বুধবার সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ ও ধরমপাশা উপজেলা এবং নেত্রকোনা জেলার বিভিন্ন হাওরে ফসল রক্ষা বাঁধের কাজ পরিদর্শনকালে প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। প্রতিমন্ত্রী গতকাল মঙ্গলবার রাতে সুনামগঞ্জে এসে আজ বুধবার সকাল থেকে হাওরে বাঁধ পরিদর্শনে বের হন।
বাঁধের কাজ পরিদর্শনে গিয়ে প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক বলেন, গত কয়েক দিনের বৃষ্টিতে কিছু বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেগুলো মেরামতের কাজ চলছে। সরকার হাওর এলাকার ফসল রক্ষায় স্থায়ীভাবে বাঁধ নির্মাণের বিষয়টি নিয়ে ভাবছে। এবার বাঁধের কাজ ভালো হয়েছে। আগামী বছর কাজের মান আরও ভালো হবে এবং নির্ধারিত সময়েই বাঁধের কাজ শুরু ও শেষ হবে।
প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক এর আগে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি সুনামগঞ্জের হাওরে বাঁধের কাজ পরিদর্শন করেন। তখন বাঁধের কাজের মান ও অগ্রগতি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন তিনি। এ সময় নির্ধারিত সময়ে বাঁধের কাজ শেষ হওয়া নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন। সুনামগঞ্জে হাওরে বাঁধের কাজের সময়সীমা ১৫ ডিসেম্বর থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি। এবারও নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ হয়নি। পরে ১৫ মার্চ পর্যন্ত সময় বাড়ানো হয়।
সুনামগঞ্জে এবার ৪২টি হাওরের ফসল রক্ষায় ৫৭২টি প্রকল্পে বাঁধের কাজ হচ্ছে। এ জন্য বরাদ্দ আছে ৯৭ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। সুনামগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, সুনামগঞ্জে এবার ২ লাখ ২৪ হাজার ৪০০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে। ধানের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১৩ লাখ ১৪ হাজার ৫৮০ মেট্রিক টন।
বাঁধ পরিদর্শনের সময় প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মাহমুদুল ইসলাম, যুগ্ম সচিব মন্টু কুমার বিশ্বাস, পানিসম্পদ উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক মাহফুজুর রহমান, সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবদুল আহাদ, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক মো. এমরান হোসেন, পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান, সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু বকর সিদ্দিক ভূঁইয়া, নির্বাহী প্রকৌশলী খুশি মোহন সরকার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরকে//
আরও পড়ুন