ঢাকা, সোমবার   ২১ এপ্রিল ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

২০২৩ সাল থেকে শিশুশিক্ষায় আসবে আমূল পরিবর্তন (ভিডিও)

মুশফিকা নাজনীন

প্রকাশিত : ২১:৫৪, ১২ আগস্ট ২০২২

Ekushey Television Ltd.

আগামীতে প্রাক-প্রাথমিকের দুই শিফটের ক্লাস হবে এক শিফটে। বাড়বে শ্রেণিকক্ষের সংখ্যা। নতুন কারিকুলামে থাকবে শিল্পকলা, সংগীত, শারীরিক শিক্ষাসহ মানসিক বিকাশের বহুমূখী আয়োজন।

বইয়ের বোঝা দূর করে ২০২৩ সালে আনন্দময় হবে শিশুশিক্ষা।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক প্রাথমিকের শ্রেণিকক্ষে দেখা যায় খেলার ছলে পড়ালেখায় মশগুল শিক্ষার্থীরা। নেই পরীক্ষার ঝক্কি, ঝামেলা নেই বইয়ের বোঝা টানার। 

এর উল্টো চিত্র দেখা যায় বাংলাদেশে। ওজনের চেয়ে পিঠে বইয়ের ভারি বোঝা। মেরুদণ্ডে অতিরিক্ত চাপ নিয়ে প্রতিদিন স্কুলে যাওয়া-আসা কোমলমতিদের । 

হন্তদন্ত হয়ে ক্লান্ত শিশুদের গোমরা মুখে শুরু হয় পড়ালেখা। আনন্দের লেশ মাত্র নেই শ্রেণিকক্ষে। নেই মজার উপকরণ। যে কারণে শিক্ষার্থীর সঙ্গে শিক্ষকেরাও থাকেন গম্ভীর, নিরুৎসব। উভয়ের কাছে পড়ালেখার ব্যাপারটি হয়ে ওঠে বিষন্ন কিংবা দায়সারা। 

পড়ালেখায় নিরানন্দের এই ধারা চলমান অনেকদিন। ২০২৩ সাল থেকে তাই আমূল পরিবর্তন আসবে শিশুশিক্ষায়। ওয়ান থেকে থ্রি পর্যন্ত থাকছে না পরীক্ষার উত্তাপ। আনন্দদায়ক অনেক উপকরণও পাবে শিক্ষার্থীরা। 

প্রাথমিক শিক্ষাক্রমের সদস্য অধ্যাপক ড. একে এম রিয়াজুল হাসান বলছেন, ‘প্রথম পর্যায়ে ৬৫ স্কুলের ৪শ শিক্ষককে দেয়া হবে শিশুবান্ধব প্রশিক্ষণ।’

নতুন শিখন পদ্ধতি বাস্তবায়ন হলে শিশুরাই মতামত জানাবে ক্লাসে। জানাবে তার ভালো লাগা, মন্দ লাগা। ৪ মাস পর হবে মেধার ধারাবাহিক মুল্যায়ন। অতঃপর শিশুদের দক্ষতা জানানো হবে অভিভাবককে।

সরকারের এমন উদ্যোগের সমলোচনাও করেছেন কেউ কেউ। জানিয়েছেন ভিন্নমত।  

দ্রুত শিশু বান্ধব শিক্ষা ব্যবস্থা চালু না হলে আগামী দিনে জাতি গঠনে মারাত্বক প্রভাব ফেলবে শিক্ষার বর্তমান পদ্ধতি। 

এসি
 


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি