২১ জুলাই চালু হচ্ছে পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনাল (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১৫:৫৭, ১৯ জুলাই ২০২২
আগামী ২১ জুলাই পরীক্ষামূলকভাবে চালু হচ্ছে পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনাল। এতে গতি বাড়বে চট্টগ্রাম বন্দরের আমদানি আর রপ্তানি বাণিজ্যে।
বছরে প্রায় পাঁচ লাখ কন্টেইনার হ্যান্ডলিংয়ের উপযোগী পতেঙ্গা টার্মিনালের নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছিল ২০১৭ সালে।
সেনাবাহিনীর অধীনে সাতটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান প্রকল্পটি বস্তবায়ন করে। ৬০০ মিটার দীর্ঘ জেটিতে একসঙ্গে ১৯০ মিটার লম্বা ও ১০ দশমিক ৫ মিটার ড্রাফটের তিনটি কনটেইনারবাহী আর তরল পণ্যবাহী আরেকটি জাহাজ ভেড়ানোর সুবিধা থাকছে। সাকুল্যে প্রায় ৫ লাখ কন্টেইনার ওঠানামা করতে পারবে নতুন এ টার্মিনালে। এর নির্মাণ ব্যয় হয়েছে ১ হাজার ২৩০ কোটি টাকা।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ সচিব মো. ওমর ফারুক বলেন, “তিনটা জেডিতে কন্টেইনার হ্যান্ডেলিং করতে পারবো। এটা বিদ্যমান ক্যাপাসিটির সাথে যোগ হবে। এতে আমদানি-রফতানিকারক, পোর্ট ইউজার যারা আছেন সবাই এটার সুফল পাবেন।”
চট্টগ্রাম বন্দরের তিনটি টার্মিনালে বছরে ৩০ লাখ কন্টেইনার ওঠানামা করে। কিন্তু আমদানি-রপ্তানি বেড়ে যাওয়ায় চতুর্থ টার্মিনালের প্রয়োজন দেখা দিয়েছিল বেশ আগেই। একইসঙ্গে পার্শ্ববর্তী লালদিয়া চর এবং সাগরপাড়ে বে-টার্মিনাল নির্মাণ জরুরি হয়ে পড়েছে, অভিমত ব্যবসায়ীদের।
চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, “সবগুলো মিলে ৬০ বিলিয়ন থেকে ১০০ বিলিয়নে এক্সপোর্ট নির্ধারণ করা হয়েছে। সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য নতুন নতুন টার্মিনাল খুবই দরকার।”
পতেঙ্গা টার্মিনাল থেকে পণ্যবাহী কন্টেইনার পরিবহনের জন্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ চার লেনের ছয় কিলোমিটার দীর্ঘ সড়ক নির্মাণ করছে এরইমধ্যে। নতুন এ টার্মিনালে কন্টেইনার ভেড়া শুরু হলে যানজটের চাপ কমবে চট্টগ্রাম নগরীতে।
সিডিএ প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামস বলেন, “পতেঙ্গা থেকে ফিডার রোড ওয়ানে ৬ কিলোমিটার ৪ চার লেন করে সার্ভিস রোড করে দিব। ইপিজেডের পর থেকে আরও দুই লেনের সার্ভিস রোড করবো সাগরিকা পর্যন্ত। যাতে লিংক রোডে সরাসরি উঠতে না পারে ছোট ছোট গাড়িগুলো। সার্ভিস রোডগুলো ব্যবহার করে লিংক রোডে আসতে হবে।”
২০০৭ সালে নিউমুড়িং কন্টেইনার টার্মিনাল চালুর পর চট্টগ্রাম বন্দরে এতোদিন আর কোনো টার্মিনাল চালু হয়নি। আগামী সেপ্টেম্বরে নতুন টার্মিনালে কন্টেইনার হ্যান্ডলিং হবে পুরোদমে।
এএইচ
আরও পড়ুন