২১১৯ সাল হতে পারে!
প্রকাশিত : ১৮:১৪, ৭ মার্চ ২০১৯
(ফাইল ফটো)
ক্যালেন্ডারের পাতায় ২১১৯ সাল। আজ থেকে ১০০ বছর পর। লেখাটি যারা পড়ছেন, আমাদের প্রত্যেকের দেহ তখন মাটির নিচে। অস্তিত্ব তখন রূহের জগতে। দেখছি আমাদের তাকদীর, আমি জান্নাতি না জাহান্নামি।
ইতিমধ্যে ফেলে যাওয়া আমাদের সুন্দর বাড়িটা হয়ত অন্যদের দখলে চলে গেছে, পছন্দের কাপড়গুলো এখন অন্যরা পড়ছে, সখের গাড়িটি হয়ত অন্য কেউ চালাচ্ছে। আর আমরা? খুব কম জনই স্মরণে রেখেছে। কেউবা ভাবেও না। আচ্ছা, ব্যস্ততার এই জীবনে আপনার দাদার দাদাকে কত বার স্মরণ করেন? আপনার দাদীর দাদীর কথা কখনো কি আপনার মনে পড়ে?
পৃথিবীর বুকে আজকের এই বেঁচে থাকা, যার জন্য এতো হইচই, এতো মায়া কান্না—গত হওয়া অসংখ্য প্রজন্মকে টপকে আমরা এই জীবন লাভ করেছি। তেমনিভাবে আগামীতে অসংখ্য প্রজন্মের ভিড়ে হারিয়ে যাবে এই জীবন।
যত প্রজন্ম আসছে আর যাচ্ছে, দুনিয়াকে বিদায় জানাবার, দায়িত্ব-ক্ষমতা অন্যের হাতে অর্পণ করবার, কিংবা কারো ইচ্ছা অপূর্ণ রেখে যাবার পূর্বে—খুব কম জনই সময় পায় ফেলে যাওয়া জীবনটা একটু ফিরে দেখবার। বাস্তবতা হচ্ছে, এই জীবনটা আমাদের কল্পনার চেয়েও ছোট।
২১১৯ সালে কবরে শুয়ে আমরা সবাই এই বাস্তবতা উপলব্ধি করতে পারবো, সত্যিই দুনিয়াটা কতই না তুচ্ছ ছিল! একে ঘিরে দেখা স্বপ্নগুলো কতই না নগণ্য ছিল!
২১১৯ সালে আমরা সকলেই চাইবো, `ইশ যদি জীবনটা মহৎ কিছুতে উৎসর্গ করতে পারতাম! ইসলামের জন্যে! নেক আমল সংগ্রহের জন্য করতে পারতাম! মৃত্যুর পরেও যে কাজগুলো আমাদের উপকার করে যেত, সেগুলোর পেছনে যদি উৎসর্গ করতে পারতাম!`
২১১৯ সালে আমরা অনেকেই চিৎকার করে কথাটা বলব, কিন্তু কোনো ফল বয়ে আনবে না আমাদের এই হাহাকার: "..হে আমার রব! আমাকে আবার ফেরত পাঠান। যাতে আমি সৎকাজ করতে পারি যা আমি আগে করিনি।" [আল-মু`মিনুন, ৯৯]
বরং জবাব মিলবে, "না, এটা হবার নয়। এটা তো তার একটি বাক্য মাত্র যা সে বলবেই । তাদের সামনে বার্যাখ থাকবে উত্থান দিন পর্যন্ত।" [আল-মু`মিনুন,১০০]
২১১৯ সালে আমরা অনেকেই আফসোসে নিজেদের হাত কামড়াতে থাকবো এই বলে, "হায়! আমার এ জীবনের জন্য আমি যদি কিছু অগ্রিম পাঠাতাম?” [সূরা আল-ফাজর, ২৪]
ভাইরে! মৃত্যুর ফেরেশতা আমাদেরকে নেককার হবার সময় দেবে না। বোনরে! সে অপেক্ষা করবে না আমাদের জন্য..
তাই আসুন না, মৃত্যুর ফেরেশতা আসার আগেই আমরা সংশোধন হয়ে যাই! পাপে ভরা জীবনটা পাল্টে ফেলি!
সংগৃহীত।
এসএইচ/