ঢাকা, সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪

২৩৮ কিলোমিটার সাবওয়ে হচ্ছে ঢাকায় (ভিডিও)

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২১:৫৬, ২৯ মার্চ ২০২২ | আপডেট: ২১:৫৭, ২৯ মার্চ ২০২২

রাজধানীর যানজট নিরসনে ২৩৮ কিলোমিটার সাবওয়ে নিমার্নের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। পরিকল্পনা অনুযায়ী মোট ১১টি সাবওয়ে নির্মাণ করা হবে। ভূগর্ভস্থ এসব সাবওয়ে ভূপৃষ্ট থেকে ২৫ থেকে ৭০ মিটার গভীরে নির্মিত হবে। 

মঙ্গলবার সকালে রাজধানরি একটি হোটেলে ‘ঢাকা শহরে সাবওয়ে নির্মাণের সম্ভাব্যতা সমীক্ষা’ শীর্ষক প্রকল্পের খসড়া চূড়ান্ত প্রতিবেদনের উপর মতামত গ্রহণের জন্য অনুষ্ঠিত সেমিনারে বক্তারা এসব কথা জানান।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। 

ওবায়দুল কাদের বলেন, ঢাকা মহানগরীর যানজট এবং জনজট দূর করতে সাবওয়ে নির্মাণের কোন বিকল্প নেই।

তিনি আরও বলেন, ঢাকা এখন দূষনের নগরী। এ নগরীকে বাসযোগ্য করার জন্য নতুন উদ্যমে নতুন নতুন পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। সুন্দর নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে বিভিন্ন পদক্ষেপ ও পরিকল্পনার মধ্যে এই সাবওয়ে নিমার্নের বিষয়টিও রয়েছে। 

সেমিনারে জানানো হয়, ২৩৮ কিলোমিটার দীর্ঘ ঢাকা সাবওয়ে নেটওয়ার্ক এর জন্য স্পেনের পরামর্শক প্রতিষ্ঠান টিপসা  প্রাথমিক ভাবে ১১টি রুট এলাইনমেন্ট প্রস্তাব করে। এই ১১টি রুটের মধ্যে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ১০৫কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের ৪টি রুট ২০৩০ সালের মধ্যে নির্মাণের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। 

রুট ৪টি হলো- ২৪টি স্টেশন বিশিষ্ট ৩৪ দশমিক ৯২ কিলোমিটার দীর্ঘ ঝিলমিল থেকে টঙ্গি জংশন রুট, যেখানে প্রতি কিলোমিটারে সম্ভাব্য ব্যয় প্রায় দুই হাজার তিনশত আটাশি কোটি টাকা। 

১৪টি স্টেশন বিশিষ্ট ২২ দশমিক ৮৯ কিলোমিটার দীর্ঘ গাবতলী থেকে ভোলাব ইউনিয়ন রুট যেখানে প্রতি কিলোমিটারে সম্ভাব্য ব্যয় প্রায় দুই হাজার একশত আটান্ন কোটি টাকা। 

১৫টি স্টেশন বিশিষ্ট ২৫ দশমিক ২২ কিলোমিটার দীর্ঘ কেরানীগঞ্জ থেকে সোনাপুর ইউনিয়ন রুট যেখানে প্রতি কিলোমিটারে সম্ভাব্য ব্যয়  প্রায় দুই হাজার দুইশত সতের কোটি টাকা।

৩২টি স্টেশন বিশিষ্ট ৪৫ দশমিক ১১ কিলোমিটার দীর্ঘ জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নারায়ণগঞ্জ রুট যেখানে প্রতি কিলোমিটারে সম্ভাব্য ব্যয় প্রায় দুই হাজার তিনশত বার কোটি টাকা।

সাবওয়ের জন্য নির্মিত টানেল ভূপৃষ্ঠ থেকে আনুমানিক ২৫ হতে ৭০ মিটার নীচ দিয়ে যাওয়ার কারণে জমি অধিগ্রহন ও নির্মাণ জনিত কোন প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হবে না। 

সাবওয়েটি নির্মিত হলে ঢাকা শহরের প্রায় ৮০ লক্ষ কর্মজীবী মানুষের মধ্যে অর্ধেক অর্থাৎ প্রায় ৪০ লক্ষ মানুষ মাটির নীচ দিয়ে যাতায়াত করতে পারবে এবং মাটির উপরিভাগ যানজট ও জনজট মুক্ত থাকবে। 

পরে সেতু বিভাগের সচিব মোঃ মনজুর হোসেন-এর উপস্থিতিতে নারায়ণগঞ্জের পঞ্চবটি হতে মুন্সিগঞ্জের মুক্তারপুর সেতু পর্যন্ত সড়ক প্রশস্তকরণ ও দোতলা রাস্তা নির্মাণের লক্ষে যৌথ ভাবে চীনের নির্মাণ প্রতিষ্ঠান স্যানডন ও সিএসআই এবং বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। 

এমএম/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি