৩ দিনের মধ্যে প্রজ্ঞাপন চান ৩৫ প্রত্যাশীরা
প্রকাশিত : ১৮:৪৬, ১৪ অক্টোবর ২০২৪
আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা স্থায়ীভাবে পুরুষের ক্ষেত্রে ন্যূনতম ৩৫ এবং তা শর্ত সাপেক্ষে উন্মুক্ত করে তিন কর্ম দিবসের মধ্যে প্রজ্ঞাপনের দাবি করেছেন ৩৫ প্রত্যাশীরা।
আজ সোমবার (১৪ অক্টোবর) বিকেল ৪টায় রাজধানীর শাহবাগ জাদুঘরের সামনে এ অবস্থান কর্মসূচির শেষ করা আগে গণমাধ্যমকে এ দাবির কথা বলেন ৩৫ প্রত্যাশীদের ঢাকা মহানগর সমন্বয়ক আহমেদ তানজিদ।
আহমেদ তানজিদ বলেন, চাকরিতে প্রবেশের বয়স সীমা বাড়ানোর দাবিতে যে লড়াই সংগ্রাম আমরা চালিয়ে যাচ্ছি, এতে আমরা আশার আলো দেখতে পাচ্ছি। এই সরকারের জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে একটি সংস্কার কমিটি ঘোষণা করেছিল। কমিটি আমাদের যৌক্তিক দাবি আমলে নিয়ে আমাদের দাবির জন্য সুপারিশ করেছেন।
এর আগে সোমবার সংস্কার কমিটির প্রধান আবদুল মুয়ীদ চৌধুরী (সাবেক সচিব) বলেছেন, চাকরিতে প্রবেশের ক্ষেত্রে পুরুষের বয়স ৩৫ ও নারীর ক্ষেত্রে ৩৭ বছর বিবেচনা করে সুপারিশের করা হয়েছে।
ঢাকা মহানগর সমন্বয়ক আহমেদ তানজিদ বলেন, আমাদের এ দাবি দীর্ঘ ১২ বছরের। আমরা আর ধৈর্য ধারণ করতে পারছি না। তিন কর্ম দিবসের মধ্যে প্রজ্ঞাপন আকারে বাস্তবায়ন চাই চাকরিতে প্রবেশের বয়স সীমার। ৩০ সেপ্টেম্বর আমরা রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনার সামনে অবস্থান করেছিলাম। সে সময় দুজন উপদেষ্টা বলেছিলেন, যেকোনো দাবি বাস্তবায়নের একটি প্রক্রিয়া থাকে। সে সময় জনপ্রশাসন সংস্কার কমিটি গঠন করা হয়। তখন সাত কার্য দিবস সময় চেয়ে নেয় ওই কমেটি। তাদের কমিটি সকল স্টেক হোল্ডার ও বিশেষজ্ঞদের সাথে কথা বলে, তারা এই সিদ্ধান্তে সুপারিশ করেছে চাকরিতে প্রবেশের বয়স পুরুষ ৩৫ ও নারীর ৩৭ বছর। এই সুপারিশ তারা প্রধান উপদেষ্টার কাছে পাঠিয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণ করে তিনি বলেন, আমরা তিন কার্য দিবসের মধ্যে চাকরিতে প্রবেশের বয়স সীমা প্রজ্ঞাপন আকারে দেখতে চাই। অন্যথায় আমরা ছাত্ররা পুনরায় আন্দোলনের নামবো, রাজপথে নেমে আসবো। প্রয়োজনে বুকের রক্ত ঢেলে দিতে বাধ্য হব।
পরবর্তী কার্যক্রম কি জানতে চাইলে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তানজিদ বলেন, আশা করি আমাদের দাবি এই সরকার মেনে নিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করবে। যদি প্রজ্ঞাপন জারি না হয়, তিন দিন পরে আমরা কর্মসূচি ঘোষণা করবে। আজকের অবস্থান কর্মসূচি এখানেই সমাপ্ত।
এসএস//
আরও পড়ুন