ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪

৩ মার্চ ১৯৭১: এলো সংগ্রামের রূপরেখা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৮:২৩, ৩ মার্চ ২০২২ | আপডেট: ০৮:৪০, ৩ মার্চ ২০২২

উত্তাল পূর্ব পাকিস্তানের স্বাধীনতা-সংগ্রামের পূর্ণাঙ্গ রূপরেখা আসে এদিন। 

ঢাকায় দ্বিতীয় দিনের মত এবং পুরো বাংলাদেশে প্রথম দিনের সর্বাত্মক হরতালে স্তব্ধ জীবনযাত্রার মধ্যেই পল্টন ময়দানে স্বাধীন বাংলা কেন্দ্রীয় ছাত্র-সংগ্রাম পরিষদের ডাকা ছাত্র জনসভায় উপস্থিত হন বঙ্গবন্ধু। সেখানে তিনি অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেন।

ছাত্রলীগের তৎকালীন সভাপতি নূরে আলম সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে সেই সভায় সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক শাজাহান সিরাজ স্বাধীনতার ইশতেহার পাঠ করেন।

ইশতেহারে স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশের সর্বাধিনায়ক হিসেবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম ঘোষণা করা হয়। সিদ্ধান্ত হয়, বিশ্বকবির ‘আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি’ গানটি হবে বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত। আর বাংলাদেশের পতাকা হবে সবুজ জমিনের মাঝে লাল সূর্য, মাঝে সোনালী মানচিত্র।

পল্টনের সেই জনসভায় বঙ্গবন্ধু কর-খাজনা না দেওয়ার ঘোষণা দেন। সামরিক সরকারকে গণপ্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি তাদের ব্যারাকে ফিরে যেতে বলেন।

বঙ্গবন্ধু সেদিন নির্দেশ দেন, “আমি যদি নাও থাকি, আন্দোলন যেন না থামে।”

হরতালে জনতার মিছিলে সেনাবাহিনীর গুলি ও বিভিন্ন ঘটনায় সারাদেশে শতাধিক মানুষের প্রাণহানি হয় সেদিন। ঢাকা ছাড়াও রংপুর এবং সিলেটে কারফিউ জারি করা হয়। 

প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান এক ঘোষণায় ১০ মার্চ ঢাকায় নেতৃবৃন্দের সম্মেলন অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন। বলা হয়, এই সম্মেলনের পর দুই সপ্তাহের মধ্যে জাতীয় পরিষদ অধিবেশন হবে।

ইয়াহিয়ার সেই আমন্ত্রণ তাৎক্ষণিকভাবে প্রত্যাখ্যান করেন বঙ্গবন্ধু প্রেসিডেন্ট। তবে জুলফিকার আলী ভুট্টো তা গ্রহণ করেন।

বঙ্গবন্ধু সেদিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহতদের দেখতে যান। জীবন রক্ষার জন্য জনগণের প্রতি ব্লাড ব্যাংকে রক্তদানের আহ্বান জানান।

তিনি ‘স্বাধিকার আন্দোলন বিপথগামী করার অশুভ চক্রান্ত রুখতে’ সতর্ক থাকতে জনসাধারণের প্রতি আহ্বান জানান। 
এসএ/

 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি