৩০ টি বৌদ্ধ বিহারে অনুদান প্রদান
প্রকাশিত : ১৮:১২, ৪ মার্চ ২০২৩
পটুয়াখালী ও বরগুনা জেলার বিভিন্ন বৌদ্ধ বিহারের অনুকূলে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল হতে সাড়ে সাত লক্ষ টাকার চেক হস্তান্তর করা হয়েছে।
শনিবার (৪ মার্চ) বেলা ১১টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসক (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ হুমায়ূন কবিরের সভাপতিত্বে ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শেখ আব্দুল্লাহ সাদীদের সঞ্চালনায় আয়োজিত চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান আরমা দত্ত এমপি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এ চেক বিতরণ করেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মুঃ আঃ আউয়াল হাওলাদার, বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ভাইস চেয়ারম্যান সুপ্ত ভূষণ বড়ুয়া। এছাড়া আরো উপস্থিত ছিলেন পটুয়াখালী পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোঃ সাজেদুল ইসলাম, পটুয়াখালী জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী আলমগীর, পটুয়াখালী প্রেসক্লাবের সভাপতি স্বপন ব্যানার্জীসহ পটুয়াখালী ও বরগুনা জেলার বিভিন্ন বৌদ্ধ বিহারের নেতৃবৃন্দরা।
আয়োজিত চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, এখানে আমি অনেকের কথা শুনেছি। সমস্যা অনেক রয়েছে। যে সমস্যাগুলো আমরা চাইলেই শেষ করতে পারবো না। তবে এই সমস্যা সমাধানের চেষ্টা আমরা অবশ্যই করতে পারি। আমাদের বাংলাদেশে ৬৪টি আদিবাসী সম্প্রদায় রয়েছে। তাদের কাছে সব সময় চাইলেই আমরা যেতে পারি না। তবে আমরা ধীরে ধীরে হলেও তাদের কাছে পৌঁছাতে পারি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ইসলাম ধর্মীয় ফাউন্ডেশনের পাশাপাশি হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট, বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট, খ্রিস্টান ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট চালিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।
তিনি বলেন, বরগুনা ও পটুয়াখালী জেলাতে সরকারি হিসেবে ৪২০০ আদিবাসী রয়েছে। কিন্তু তাদের কোন কমিউনিটি নেই। এতগুলো মানুষ রয়েছে এই জায়গার ভিতরে কিন্তু তাদের কোন শ্মশান নেই! আমাদের দেশে প্রধানমন্ত্রী নিজের প্রাণ দিয়ে কাজ করে যাচ্ছে সেখানে একটা শ্মশান নেই এটা আমাকে অবাক করেছে। আপনাদের এলাকাতে এমপি রয়েছে, জেলা প্রশাসন রয়েছে আপনাদের ব্যাথার কথা তাদের কাছে আপনাদের বলতে হবে। শুধু অনুদান দিলে তো আর সবকিছু সমাধান হবে না। আপনাদের একত্রিত হয়ে কাজ করতে হবে। বঙ্গবন্ধুর এত কষ্ট করে একটি অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র উপহার দিয়ে গেছেন। তার মেয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারাদিন কষ্ট করে যাচ্ছেন। কিন্তু আপনারা এই অবস্থায় থাকবেন সেটা কাম্য নয়। আপনাদের প্রতি আমাদের অনেক দায়বদ্ধতা রয়েছে। সেই দায়বদ্ধতা থেকে বলছি আপনাদের ইউনিটি লাগবে। ইউনিটি ছাড়া কোন প্লাটফর্ম তৈরি হয় না। একটা কথা মনে রাখবেন আপনাদের দলাদলির কারণে যেনো সামনে নির্বাচনে প্রভাব না পড়ে। আপনারা একত্রে সামনের নির্বাচনে ভোট দিয়ে আবারো স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তিকে ক্ষমতায় আনবেন। দেশের উন্নয়ন বজায় রাখার জন্য।
অনুষ্ঠান শেষে দুই জন মেধাবী রাখাইন শিক্ষার্থীদের হাতে ১২ হাজার টাকা করে শিক্ষা উপবৃত্তি বৃত্তি তুলে দেন প্রধান অতিথি।
এসি
আরও পড়ুন