৩০ মার্চ, প্রতিরোধের মুখে পড়ে সর্বত্র
প্রকাশিত : ১২:৩৯, ৩০ মার্চ ২০১৭ | আপডেট: ১৫:৪১, ৫ এপ্রিল ২০১৭
আজ ৩০ মার্চ, ১৯৭১ সালের এদিন মুক্তিযোদ্ধাদের আধিপত্য ভাঙ্গতে পাকিস্তানী জান্তা রিজার্ভ সৈন্যদেরও সবদিকে পাঠাতে শুরু করে। তবে প্রতিরোধের মুখে পড়ে সর্বত্র। ভারতে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়লে মন্ত্রিসভার জরুরী বৈঠক ডাকেন ইন্দিরা গান্ধি। কয়েক লাখ শরণার্থীর পশ্চিমবঙ্গে যাওয়ার খবর শিরোনাম হয়ে ওঠে বিশ্বগণমাধ্যমে।
ঢাকার পরে চট্টগ্রাম নিজেদের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার দুদিনের মধ্যেই পাকস্তানি সামরিক জান্তার লেলিয়ে দেয়া বাহিনী প্রতিরোধের মুখে পড়ে। দুঃসংবাদ পায় ৩০ মার্চ বরিশাল, ফরিদপুর, সিলেট, ময়মনসিংহ, রাজশাহীসহ নতুন নতুন ফ্রন্টে পাকসেনা নিহতের।
যশোরের খন্ডযুদ্ধ থেকে পালিয়ে এসে পাকসেনারাই উর্দ্ধতনদের জানান, মুক্তিসেনাদের বীরত্ব। নতুন করে সাতক্ষিরাসহ আরো কিছু এলাকায় মুক্তিযোদ্ধাদের ঘাটির খবরে উদ্বিগ্ন পাকজান্তা সারাদেশে পাঠাতে শুরু করে রিজার্ভ সেনাদের। তবে এদিন খোদ ঢাকায় চোরাগুপ্তা হামলা করতে গিয়ে ধরা পরে দুই গেরিলা, ঢাকাতেও আক্রান্ত হওয়ার ভয়ে তল্লাশী শুরু হয়।
জীবন বাঁচাতে এপারের মানুষের ঢল নামে ওপার বাংলায়, সেসময়ের বিশ্বগনমাধ্যমে প্রতিবেদনে দিনে আড়াই লাখ। বাঙালী নারী-শিশু-বৃদ্ধদের সীমান্ত পারের এমন মানবিক বিপর্যয় ১৯৪৭ এর দেশভাগের সময়ও হয়নি। কোলকাতায় প্রথমে খোলা হয় ত্রাণ কার্যালয়, পরে দ্রুত সময়ে ক্যাম্প গড়ে ওঠে।
এদিন অটল বিহারী বাজপায়ীর নেতৃত্বে বাজপেয়ীর নেতৃত্বে প্রতিক্রিয়াশীল রাষ্ট্রীয় সেবক সংঘের মিছিল হয় বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে। প্রগতিশীল বামপন্থী সংগঠনগুলোর বিক্ষোভ অব্যাহত কোলকাতা ও দিল্লীতে। পশ্চিমবঙ্গের কংগ্রেস দলীয় মূখ্যমন্ত্রী সিদ্ধার্থ শংকর রায় রাস্তায় নামেন উদ্বাস্তুদের ত্রানের চাঁদা তুলতে। নক্সালকর্মীরাও এগিয়ে আসেন সহায়তায়। প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরাগান্ধি মন্ত্রীদের খবর পাঠান, পরের দিন জরুরী বৈঠকে যোগ দিতে।
বাংলার স্বজনদের কাছে যেতে আগের দিনের মত সীমান্ত অতিক্রমের চেষ্টা করে পশ্চিমবাংলার যুবকেরা।