ঢাকা, শুক্রবার   ০৮ নভেম্বর ২০২৪

৩২ সংগঠন নিয়ে ‘চট্টগ্রাম সঙ্গীত সংগঠন মোর্চা’র আত্মপ্রকাশ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২০:৫২, ১০ মে ২০২৪

চট্টগ্রামে ৩২টি সঙ্গীত সংগঠন নিয়ে ‘চট্টগ্রাম সঙ্গীত সংগঠন মোর্চা’ আত্মপ্রকাশ করেছে। আজ শুক্রবার বিকেলে জেলা শিল্পকলা একাডেমির মুক্তমঞ্চে বেলুন উড়িয়ে আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন একুশে পদকপ্রাপ্ত স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম পত্রিকা দৈনিক আজাদীর সম্পাদক এম এ মালেক এবং নাট্যজন আহমেদ ইকবাল হায়দার। এর আগে ২৮টি সঙ্গীত সংগঠনের প্রতিনিধিদের জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় অনুষ্ঠান। 

চট্টগ্রাম সঙ্গীত সংগঠন মোর্চার আহ্বায়ক কল্পনা লালার সভাপতিত্বে ও জাবেদ হোসেনের সঞ্চালনায় এ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন দৈনিক আজাদী সম্পাদক এম এ মালেক, নাট্যজন আহমেদ ইকবাল হায়দার, সংগঠনের যুগ্ম আহ্বায়ক মানস শেখর ও সদস্য সচিব শীলা দাশগুপ্তা। 

অনুষ্ঠানে দৈনিক আজাদী সম্পাদক এম এ মালেক বলেন, ‘আমাদের বাঙ্গালির আবহমান যে সংস্কৃতি সেটা ধরে রাখতে কিছু মানুষ ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়ায়। এজন্য তারা সমাজের বিভিন্ন জন থেকে নানা কটু কথা শুনে। তবুও তারা দমে যায় না। আমি তাদের ধন্যবাদ জানাই। চট্টগ্রামের সঙ্গীত সংগঠনগুলো অনেকদিন ধরেই আলাদাভাবে প্রোগ্রাম করছিল। এ মোর্চার মাধ্যমে চট্টগ্রামের সঙ্গীত সংগঠনগুলো যৌথভাবে কাজ করার একটি ক্ষেত্র পাবে। মোর্চা করতে গিয়ে মাঝে মাঝে নেতৃত্ব নিয়ে দ্বন্দ্ব হয়। সেটা না হলে এ মোর্চা টিকে থাকবে।’ 

নাট্যজন আহমেদ ইকবাল হায়দার বলেন, ‘আজ একটি আনন্দের দিন। এভাবে আমাদের সবাইকে জোটবদ্ধ হতে হবে। সব আন্দোলন সংগ্রামে যাতে চট্টগ্রামের এ ৩২টি সংগঠন একসঙ্গে কাজ করতে পারে সেটা খেয়াল রাখতে হবে। আজ চট্টগ্রামের শহীদ মিনার নিয়ে বলার কেউ নেই। যারা এটার ডিজাইন করেছে তারা কিছু জানে না। ইচ্ছেমতো ডিজাইন করে চট্টগ্রামের মানুষের আবেগে আঘাত দিয়েছে। যে ভুলটা তারা করেছে সেটা স্বীকার করে জবাবদিহিতা করতে হবে। চট্টগ্রামের সকল সংস্কৃতি কর্মীদের এ আন্দোলনে সামনে এগিয়ে আসতে হবে।’

আলোচনা পর্বের পর শুরুতেই মঞ্চে সঙ্গীত পরিবেশন করে সঙ্গীত ভবন, কলাবন্তী একাডেমি, স্বরলিপি সাংস্কৃতিক অঙ্গন, সারগাম সংগীত পরিষদ, রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী সংস্থা, গীতধ্বনি সংগীত অঙ্গন, বিবেকানন্দ সংগীত নিকেতন, বিশ্বতান, নজরুল সংগীত শিল্পী সংস্থা ও ছন্দানন্দ সাংস্কৃতিক পরিষদ। 

এরপর একে একে সঙ্গীত পরিবেশন করে সংগীততীর্থ, অদিতি সঙ্গীত নিকেতন, রক্তকরবী, সুরধ্বনি সাংস্কৃতিক অঙ্গন, সাংস্কৃতিক ইউনিয়ন, নজরুল কালচারাল একাডেমি, লালন পরিষদ, শ্রুতিনন্দন, রাগেশ্রী, স্বরলিপি সাংস্কৃতিক ফোরাম, দেবাঞ্জলী সংগীতালয়, উদীচী চট্টগ্রাম, আওয়ামী শিল্পীগোষ্ঠী, ঠুমরী সংগীতালয়, কালচারাল পার্ক রাউজান, পূর্বা, ফতেয়াবাদ সংগীত নিকেতন ও ইমন কল্যান সংগীত বিদ্যাপীঠ।
এর আগে ৩২টি সংগঠনের প্রতিনিধিদের হাতে ফুল ও স্মারক তুলে দেন অতিথিরা।

কেআই/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি