ঢাকা, সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪

৩৩০ পণ্যের আমদানি শুল্ক বাড়ানোর প্রক্রিয়া শুরু (ভিডিও)

মেহেদী হাসান, একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৩:২৩, ১ ডিসেম্বর ২০২২ | আপডেট: ১৩:২৩, ১ ডিসেম্বর ২০২২

ডলার সাশ্রয়ে আরও কিছু পণ্যে আমদানি শুল্ক বাড়াতে চায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড। এরইমধ্যে শুরু হয়েছে প্রক্রিয়া। ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের তালিকা ধরে কাজ করছে সংস্থাটি। এদিকে, বিলাসী পণ্যে শুল্ক বৃদ্ধিতে আপত্তি নেই ব্যবসায়ীদের। তবে ভিন্নমত অর্থনীতিবিদদের।

আমদানি ব্যয় কমিয়ে বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয়ের চেষ্টা করছে সরকার। ইতোমধ্যেই ১৩৫ ধরনের পণ্যে বাড়ানো হয়েছে আমদানি শুল্ক। আর এতে ফলও মিলছে। ধীরে ধীরে কমছে আমদানি ব্যয়।

এমন পরিস্থিতিতে ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের দেয়া ৩৩০টি পণ্যে আমদানি শুল্ক বাড়ানোর প্রক্রিয়া শুরু করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড- এনবিআর। এসবের বেশিরভাগই বিলাসী বা জরুরি-পণ্য নয়। 

ব্যবসায়ী নেতারা বলছেন, অত্যাবশক নয় এমন পণ্যে আমদানি শুল্ক বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিলে আপত্তি নেই তাদের।  

এফবিসিসিআই সহ-সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু বলেন, “খুবই অপ্রয়োজনীয়, বিদেশি টোব্যাকো যেসব আসে, ওয়াইন আসে, যেসব লাক্সারি গুডস আসে- এসব ক্ষেত্রে যদি কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয় তাহলে দেশের ডলারের সাশ্রয় হবে।”

তবে শিল্পের কাঁচামাল ও মূলধনী যন্ত্রাংশের ওপর যেন শুল্কের চাপ তৈরি না হয়, সেদিকে নজর রাখতে হবে।  

মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু বলেন, “সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য, যেসব কাঁচামাল রয়েছে- এসবের প্রতি ভারসাম্য রক্ষা করে শুল্ক বাড়ানোর পদক্ষেপ নেয়া উচিত।”

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, বিলাসী পণ্যের ওপর এমনিতে শুল্ক বেশি। আবার এরইমধ্যে কিছু পণ্যে শুল্ক বাড়ানো হয়েছে। তাই শুল্ক না বাড়িয়ে আমদানি কমানোর কৌশল খুঁজে বের করা বেশি জরুরি।  

অর্থনীতিবিদ ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, “বিদেশের সঙ্গে আমাদের ফ্রি-পেইড এগ্রিমেন্ট করতে হবে। গ্রাজুয়েশনের পথে যাচ্ছি আমরা, গ্রাজুয়েশনের পরে ডব্লিউসিইউ কিন্তু এই উচ্চহার রাখতে দেবে না। এই জিনিসগুলো আমাদের মাথায় রাখতে হবে। কাজেই সার্বিকভাবে আমি মনে করি, ওই পথে না হেঁটে এক্সচেঞ্জে কিছু ছাড় দিতে পারি, আমরা আমদানিকে নিরুৎসাহিত করতে পারি।”

এছাড়া আমদানি শুল্ক বৃদ্ধির কারণে পণ্যের দাম বাড়লে সমজাতীয় পণ্যের স্থানীয় উৎপাদকদের ওপরও চাপ তৈরি হয়, বলছেন অর্থনীতিবিদরা।

ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, “পৃথিবীতে আমাদের করহার সবচেয়ে বেশি। সেখানে প্রোটেকশন লেবেল আরও বাড়িয়ে হয়তো আমদানি কমাতে পারবো কিন্তু ইন্ড্রাস্টিয়াল খাতকে ধ্বংস করে দিব।”

অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে আমদানির দায় পরিশোধ হয় ৭৪৩ কোটি মার্কিন ডলার। আগস্টে ১৫০ কোটি ডলার কমে তা নেমে আসে ৫৯৩ কোটি ডলারে। 

এএইচ


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি