আমরণ অনশন
৩৫ শিক্ষক অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে
প্রকাশিত : ২০:১৮, ২৪ ডিসেম্বর ২০১৭ | আপডেট: ২১:৫৪, ২৪ ডিসেম্বর ২০১৭
প্রাথমিক সহকারি শিক্ষকদের বেতন বৈষম্য নিরসনের দাবিতে অব্যাহত অনশনের দ্বিতীয় দিনে অসুস্থের সংখ্যা বেড়ে ৩৫ জনে দাঁড়িয়েছে। গতকাল প্রথম দিন আট জন অসুস্থ হয়ে পড়লেও আজ আরও ২৭ জন অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তাদের পার্শবর্তী ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
আজ সন্ধ্যায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, সংকুলান না হওয়ায় অসুস্থদের হাসপাতালের বারান্দায় চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। বারান্দায় চিকিৎসা নিচ্ছিলেন লক্ষীপুরের রায়পুরের গোকলপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা সালেহা আক্তার মুক্তা। সালেহার সজনের কাছ থেকে জানা যায়, আজ দুপুর ১২টায় তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। এরপর মাথায় পানিয়ে দিয়ে জ্ঞান ফিরলে তাকে হাসপালে নিয়ে আসা হয়।
হাসপাতারে একইভাবে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জের ৬২ নম্বর দাশখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা নাসরিন আক্তার। তিনিও আজ দুপুর সাড়ে ১২টায় অসুস্থ হয়ে পড়েন।
বাংলাদেশ প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সমাজের সভাপতি আনিসুর রহমান বলেন, আমাদের আজ এ পর্যন্ত অসুস্থের সংখ্যা বেড়ে ১শ’ছাড়িয়ে গেছে। তবে হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার মতো গুরুত্বর অসুস্থ হয়েছেন ৩৫ জন।
জানা গেছে, ২০১৫ সালে ঘোষিত ৮ম জাতীয় পে-স্কেল অনুযায়ী প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকরা (২য় শ্রেণি) ১১তম গ্রেড অর্থাৎ ১২ হাজার ৫০০ টাকা এবং প্রশিক্ষণ ছাড়া প্রধান শিক্ষকরা ১২তম গ্রেডে বেতন পাচ্ছেন ১১ হাজার ৫০০ টাকা।
প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষকরা ১৪তম গ্রেডে অর্থাৎ ১০ হাজার ২০০ টাকা বেতন পাচ্ছেন আর প্রশিক্ষণ ছাড়া সহকারী শিক্ষকদের বেতন গ্রেড ১৫তম গ্রেডে ৯ হাজার ৭০০ টাকা। কিন্তু বর্তমানে নতুন স্কেলে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকরা ১০ম গ্রেড এবং প্রশিক্ষণ ছাড়া প্রধান শিক্ষকরা পাবেন ১১তম গ্রেডে, যা অর্থ মন্ত্রণালয়ে প্রক্রিয়াধীন। সহকারী শিক্ষক, প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ও প্রশিক্ষণ ছাড়া প্রধান শিক্ষকরা যে বেতন পাবেন তার পরের ধাপে তারা বেতন চান। অর্থাৎ প্রধান শিক্ষকদের এক ধাপ নিচে বেতন চান সহকারী শিক্ষকরা।
আরকে// এআর
আরও পড়ুন