৩৭ লাখ টাকা নিয়ে লাপাত্তা শার্শা পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের মাঠ পরিদর্শক
প্রকাশিত : ১০:৩০, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | আপডেট: ১০:৩২, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩
যশোরের শার্শা উপজেলা পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের অনিয়ম দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনার কারণে ৩৭ লাখ টাকা আত্মসাৎ করে পালিয়েছে মাঠ পরিদর্শক আরিফুজ্জামান।
শার্শা পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের ১৭টি সমিতির তদারকির দায়িত্বে ছিলেন আরিফুজ্জামান। সমিতির সদস্যদের ঋণ দেওয়া, ঋণের কিস্তি নিয়মিত আদায় করা ছিল তার মূল দায়িত্ব। অল্প দিনের মধ্যে সমিতির সাধারণ সদস্যদের সাথে ঘনিষ্ট মেলামেশা, মিষ্টি ব্যবহার ও কথার মারপ্যাচে বিশ্বস্ততা তৈরি করে ফেলেন মাঠ পরিদর্শক আরিফুজ্জামান। এর ফলে ১৭টি সমিতির প্রায় ৮০ ভাগ গ্রাহকের ঋণ গ্রহণের পাশ বই কৌশলে নিজের কাছে রেখে দেন।
গ্রাহকরা বইয়ের কথা বললে, বলতেন কোন সমস্যা নেই। বই আমার কাছে আছে। এভাবে তিনি বিভিন্ন গ্রাহকের কাছ থেকে আদায়কৃত ৩৭ লাখ টাকা বইতে জমা না করে আত্মসাৎ করে লাপাত্তা হয়ে যান।
এদিকে গ্রাহকদের পাশ বইর হদিস না পাওয়ায় কিস্তির কার কত টাকা বাকী বা জমা আছে তার কোন হিসাব দেখাতে পারছেন না গ্রাহকরা। ‘পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক’ কর্তৃপক্ষ গ্রাহকদের চাপ দিচ্ছে কিস্তির টাকা পরিশোধ করতে। বাধ্য হয়ে গ্রাহকদের গুনতে হচ্ছে অতিরিক্ত কিস্তির টাকা।
শার্শার নারায়ণপুর গ্রামের সমিতির সদস্য সাইদুল ইসলাম বলেন, আমি যে ২০ হাজার টাকা কিস্তি জমা দিয়েছি। কিন্তু সে টাকা অফিসে জমা না দিয়ে আরিফুজ্জামান আত্মসাৎ করেছে। এ রকম কয়েকশ’ গ্রাহক আরিফুজ্জামানের কাছে টাকা জমা দিয়ে পথে পথে ঘুরছে।
শাখা ম্যানেজার আশরাফুল আলম এ ঘটনার সাথে জড়িত থাকতে পারে বলে অনেক গ্রাহকরা অভিযোগ করেছেন। তবে আশরাফুল আলম এ ঘটনার দায় নিতে রাজি নয়। তিনি বলেন, কোন গ্রাহক আমার দায়িত্ব পালনের সময় এ বিষয়ে কোন অভিযোগ করেনি। অভিযোগ করলে বিষয়টি তাৎক্ষনিক ধরা পড়তো।
বিষয়টি জানার পর আরিফুজ্জামানকে কর্তৃপক্ষ হেড অফিসে বদলী করেন। কিন্তু তিনি সেখানে যোগদান না করে গা-ঢাকা দিয়েছেন। পরে ব্যাংকের পক্ষ থেকে এ ঘটনায় ফৌজদারী কার্যবিধি আইনে আদালতে একটি মামলা দায়ের করা হয়। যার সিআর নং-২০/২৩। মামলাটি যশোর সিআইডি অফিসে তদন্তাধীন রয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নারায়ণ চন্দ্র পাল বলেন, শার্শা পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের এ ধরনের একটি ঘটনা আমি শুনেছি। টাকা আত্মসাতকারীর বিরুদ্ধে মামলাও হয়েছে জেনেছি।
পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাকির হোসেন জানান, ব্যাংক কর্তৃপক্ষ এ ঘটনায় আদালতে মামলা করেছে। যা সিআইডি তদন্ত করছেন। তদন্তের স্বার্থে এখন কোন তথ্য প্রকাশ করা সম্ভব নয়।
এএইচ
আরও পড়ুন