৪% সুদে দুধ উৎপাদনে ঋণ পাবেন খামারিরা
প্রকাশিত : ১১:১১, ২৯ অক্টোবর ২০১৮
দুধে স্বয়ংসম্পূর্ণ করার লক্ষ্যে পুনঃঅর্থায়ন কর্মসূচির আওতায় রেয়াতি সুদহার এক শতাংশ কমিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ফলে দুধ উৎপাদনে এখন থেকে মাত্র ৪ শতাংশ সুদে ঋণ পাওয়া যাবে। এতদিন পুনঃঅর্থায়ন কর্মসূচির আওতায় রেয়াতি সুদহার ছিল ৫ শতাংশ। আগামী ১ নভেম্বর থেকে এটি কার্যকর হবে।
রোববার বাংলাদেশ ব্যাংকের কৃষি ঋণ বিভাগ এক সার্কুলার জারি করে ‘দুধ উৎপাদন ও কৃত্রিম প্রজনন খাতে পুনঃঅর্থায়ন স্কিম’ পরিচালনার নীতিমালায় এ পরিবর্তন এনেছে। ২০১৫ সালের জুনে বাংলাদেশ ব্যাংক দেশকে দুধে স্বয়ংসম্পূর্ণ করার জন্য ২০০ কোটি টাকার একটি আবর্তন বা নবায়নযোগ্য তহবিল গঠন করে। দেশের বেকার যুবকদের আত্ম কর্মসংস্থান সৃষ্টি, পুষ্টি চাহিদা পূরণসহ গুঁড়োদুধ ও দুগ্ধজাত সামগ্রীর আমদানি নির্ভরতা কমানো ছিল এ স্কিমের লক্ষ্য। গাভী কেনা, লালন পালন ও কৃত্রিম প্রজননের মাধ্যমে সংকর জাতের গাভী উৎপাদনে এ ঋণ দেওয়া হয়। ৫ বছর মেয়াদে একক ও যৌথ নামে এ ঋণ নিতে পারেন গ্রাহকরা। নীতিমালায় পরিবর্তন আনায় এখন থেকে আরও কম সুদে গাভী-বকনা বাছুর কেনা ও লালন-পালনের জন্য ব্যাংক ও বিশেষায়িত আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে ঋণ নিতে পারবেন দুধ উৎপাদন এবং কৃত্রিম প্রজননের সঙ্গে জড়িত খামারিরা।
ব্যাংলাদেশ ব্যাংকের কৃষি ঋণ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, আগে যারা এই স্কিমে ঋণ নিয়েছেন তাদের ক্ষেত্রেও নতুন সুদহার প্রযোজ্য হবে। সংশ্নিষ্ট একজন কর্মকর্তা বলেন, স্কিমটি দেশের খামারিদের কাছে খুব আকর্ষণীয় হয়েছে। চালুর তিন বছরের মধ্যে ২০০ কোটি টাকা বিতরণ হয়েছে। বর্তমানে তহবিলে অর্থ নেই। তহবিলে নতুন করে অর্থ যোগ করা হলে অথবা ঋণ গ্রহিতাদের থেকে ফেরত পাওয়া অর্থ জমা হলে নতুন ঋণ বিতরণ হবে।
এ ঋণ বিতরণের নিয়ম হচ্ছে ব্যাংক ও বিশেষায়িত আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো খামারিদের নির্দিষ্ট সুদ হারে ঋণ দিয়ে থাকে। একটি ব্যাংক বছরে যে পরিমাণ ঋণ বিতরণ করে সেই পরিমাণ অর্থ বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে একবারে পেয়ে যায়। পাশাপাশি গ্রাহকের কাছ থেকে পাওয়া সুদ বাদ দিয়ে খরচের অতিরিক্ত সুদ পায় ভর্তুকি হিসেবে। সরকার এ ভর্তুকি দেয়। এতদিন ব্যাংকগুলো ভর্তুকি বাবদ সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ সুদ দাবি করতে পারত। এখন থেকে প্রকৃত যে খরচ তার থেকে ৪ শতাংশ বাদ দিয়ে বাকি অর্থ দাবি করতে পারবে।
সোনালী, জনতা, অগ্রণী, রূপালী, বেসিক কৃষি এবং রাজশাহী কৃষি উনয়ন ব্যাংক এ স্কিমের আওতায় ঋণ বিতরণ করে। বেসরকারি খাতের ব্র্যাক ব্যাংক, আইএফআইসি, মিডল্যান্ড, ন্যাশনাল ব্যাংকও এ ঋণ দিচ্ছে।
এ ছাড়া বিশেষায়িত আর্থিক প্রতিষ্ঠান আনসার-ভিডিপি উন্নয়ন ব্যাংক, কর্মসংস্থান ব্যাংক ও আইডিএলসি ফাইন্যান্সও এ ঋণ বিতরণ করে।
এসএ/
আরও পড়ুন