৪শ’ বছরের পুরনো পানাম নগর আজও আকর্ষণীয় (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১১:২৪, ১ মার্চ ২০২২
পৃথিবীর একশ’ ধ্বংসপ্রায় ঐতিহাসিক শহরের একটি পানাম নগরী। নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে ৪শ’ বছরের পুরনো মঠবাড়ি দেখতে ভীড় করেন দেশ-বিদেশের দর্শনার্থীরা। সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী জানান, পানাম নগরের জন্য নেয়া প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে পর্যটকদের সংখ্যা আরও বাড়বে।
বড় নগর, খাস নগর, পানাম নগর- প্রাচীন সোনারগাঁওয়ের এই তিন নগরের মধ্যে পানাম ছিলো সবচেয়ে আকর্ষণীয়। পানাম নগরীর সঙ্গে জড়িয়ে আছে বাংলার বার ভূঁইয়াদের ইতিহাস। এটি অনেকের কাছে ‘হারানো নগরী’ নামেও পরিচিত।
আগের দিনে মেঘনা আর পশ্চিমে শীতলক্ষ্যা নদীপথে বিলেত থেকে আসতো থানকাপড় আর দেশ থেকে যেতো মসলিন। ঈসা খাঁর আমলে বাংলার রাজধানী ছিলো এই পানাম নগর। এখানে আছে ৪শ’ বছরের পুরনো মঠবাড়ি, নীলকুঠি, পোদ্দার বাড়ি, কাশিনাথের বাড়ি, সোনারগাঁয়ের একমাত্র আর্টগ্যালারি আর নানা প্রাচীন ভবনসহ পঙ্খীরাজ খাল।
দর্শনার্থীরা জানান, “পানাম সিটির যে পুরনো নিদর্শনগুলো আছে তা দেখলে বুঝতে পারি এখানে আমাদের পূর্বপুরুষরা কি ধরনের কাজ করেছেন। তা দেখতে খুবই সুন্দর।”
এক পর্যটক জানান, “পরিবার নিয়ে এখানে ঘুরতে এসেছি, খুবই ভাল লেগেছে। পুরনো দিনের ঐতিহ্যের জিনিসগুলো দেখতে পারছি।”
পানাম নগরীর মতো আশপাশের আরও যেসব প্রচীনতম স্থপনা রয়েছে সেগুলোও সংরক্ষণের দাবি স্থানীয়দের।
সোনারগাঁও পানাম নগরীর সহকারী কাস্টোডিয়ান দবির হোসেন বলেন, “পূর্বপুরুষ বাঙালি ছিল, তারা কি ব্যবহার করেছেন, কি তৈরি করে তারা জীবন-জীবিকা নির্বাহ করেছেন, সেটা বাজারজাত করে কি পরিমাণ উন্নয়ন করেছেন- তার উপর লক্ষ্য রেখে আমরা কাজ করছি।”
পানাম নগরের স্থপনাগুলোর অবকাঠামো ঠিক রাখতে প্রকল্প নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী।
সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেন, “প্রায় ১৫ লাখ দর্শণার্থী অফিসিয়ালই ঢুকে। এটার অবকাঠামো যদি বৃদ্ধি করা যায় তাহলে দর্শণার্থী আরও অনেক বাড়বে।”
সোনারগাঁওয়ে ২০ বর্গকিলোমিটার এলাকা জুড়ে গড়ে ওঠা এই নগরে রয়েছে ৫২টি স্থাপনা।
এএইচ/
আরও পড়ুন