৪০ কোটি টাকার রাজস্ব হারিয়েছে বিমান

ভিসা জটিলতায় যাত্রী না পেয়ে ১৯টি হজ ফ্লাইট বাতিল করতে বাধ্য হয়েছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। আর এসব ফ্লাইট বাতিল হওয়ায় বিমান ৪০ কোটি টাকার রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোসাদ্দেক আহমেদ।

বুধবার বিমানের বলাকা কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

মোসাদ্দেক আহমেদ বলেন, এ পরিস্থিতির যে অবসান হবে, সেই জায়গাটায় আমরা এখনও যেতে পারছি না। এজন্য সরাসরি কাউকে দায়ী না করলেও বাড়ি ভাড়া করার ক্ষেত্রে হজ এজেন্সিগুলোর সমন্বয়হীনতাকে দায়ী করেন মোসাদ্দেক আহমেদ। এসময় তিনি সঙ্কট কাটিয়ে হজযাত্রীদের সবাইকে সৌদি আরবে পাঠানোর বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা চান।

প্রসঙ্গত, সৌদি সরকারের কোটা অনুযায়ী বাংলাদেশ থেকে এবার ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজে যাওয়ার কথা। কিন্তু ভিসা জটিলতা, সৌদি আরবে মোয়াল্লেম ফি বৃদ্ধি এবং টানা দ্বিতীয়বারের হজযাত্রীদের ক্ষেত্রে ভিসা ফি বৃদ্ধির ফলে এবারের হজযাত্রায় জটিলতা প্রকট আকার ধারণ করেছে। যাত্রী না পাওয়ায় বুধবার পর্যন্ত  মোট ১৯টি হজ ফ্লাইট বাতিল করেছে বিমান, যেসব ফ্লাইটে সাড়ে আট হাজার যাত্রী জেদ্দা যেতে পারতেন। এর বাইরে হজযাত্রী পরিবহনের দায়িত্বে থাকা সৌদি অ্যারাবিয়ান এয়ারলাইন্সেরও চারটি ফ্লাইট বাতিল হয়েছে।  

বিমানের এমডি বলেন, হজ যাত্রী পরিবহনে আমরা লাভ লোকসান হিসাব করি না। এখানে ৪০ কোটি টাকা রাজস্ব আয় থেকে আমরা বঞ্চিত হচ্ছি। এটাকে লোকসান বলব না, কারণ এ আয় থেকে আমাদের খরচও হত।

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে এবার ৩০ আগস্ট হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়ে ৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলতে পারে। সৌদি সরকার ১৭ আগস্ট পর্যন্ত ভিসা দেবে এবং হজের শেষ ফ্লাইট যাবে ২৬ অগাস্ট। গত ২৪ জুলাই ফ্লাইট শুরুর পর ১৬ দিনে ৭০টি ফ্লাইটে ৪০ হাজারের মত হজ যাত্রীকে সৌদি আরব পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হয়েছে। এর মধ্যে বিমান ২৪ হাজার ১১৫ জনকে জেদ্দা নিয়ে গেছে।

এক সপ্তাহের মধ্যে ৫২ হাজার হজ যাত্রীর ভিসা করিয়ে সব আনুষ্ঠানিকতা সেরে তাদের জন্য ফ্লাইটের ব্যবস্থা করার বিষয়টিকে ‘বেশ কঠি ‘ বলেই মনে করছেন মোসাদ্দেক আহমেদ।

তিনি বলেন, এটা খুব চ্যালেঞ্জিং একটা সিচুয়েশন। সিচুয়েশনটা ইমপ্রুভ করা দরকার। আমরা এর মধ্যে হজযাত্রী পরিবহনের জন্য ১৪টি স্লটের আবেদন করেছিলাম। যার মধ্যে সাতটি আমরা ব্যবহার করতে পারব।

//আর//এআর