৪০তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তির আগেই কোটার প্রজ্ঞাপন দাবি
প্রকাশিত : ১২:৪৪, ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৮ | আপডেট: ১০:৪০, ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৮
পুরোনো ছবি
৪০তম বিসিএস বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার আগেই কোটা সংস্কারের প্রজ্ঞাপন জারির দাবি জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।
আজ মঙ্গলবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের প্ল্যাটফর্ম বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করা হয়। এ সময় তিন দফা দাবিও উত্থাপন করা হয়।
শিক্ষার্থী ও চাকরি প্রত্যাশীরা পাঁচ দফার আলোকে আর কালক্ষেপণ না করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে কোটা সংস্কারের প্রজ্ঞাপন জারির দাবি জানান।
সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান সংগঠনের যুগ্ম আহ্বায়ক বিন ইয়ামিন মোল্লা। এ সময় তিনি ৩দফা দাবি উত্থাপন করেন। দাবিগুলো হচ্ছে- ভিত্তিহীন, মিথ্যা ও হয়রানিমূলক সব মামলা প্রত্যাহার করা, হামলাকারীদের উপযুক্ত শাস্তি নিশ্চিত করা এবং পাঁচ দফার আলোকে কোটা পদ্ধতির যৌক্তিক সংস্কার করে প্রজ্ঞাপন জারি।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আশা করি সরকার ছাত্র সমাজকে রাজপথে নেমে প্রজ্ঞাপন আদায়ের দিকে ধাবিত করবেন না। সরকারের অনাগ্রহ ও উদাসীনতা যদি প্রজ্ঞাপন জারি আটকে রাখে তবে ছাত্র সমাজ রাজপথে নেমেই দাবি আদায় করতে বাধ্য হবে।
তিনি আরও বলেন, ইতোমধ্যে মহান জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রীর সুস্পষ্ট ঘোষণার পর দীর্ঘ পাঁচ মাস অতিবাহিত হলেও কোটা সংস্কারের কাঙ্ক্ষিত প্রজ্ঞাপন এখনও জারি না হওয়ায় ছাত্র সমাজ হতাশ ও বিক্ষুব্ধ
সংবাদ সম্মেলন থেকে তিন দফা দাবি উত্থাপন করা হয়। দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- ভিত্তিহীন, মিথ্যা ও হয়রানিমূলক সব মামলা প্রত্যাহার, হামলাকারীদের উপযুক্ত শাস্তি নিশ্চিত করা ও পাঁচ দফার আলোকে কোটা পদ্ধতির যৌক্তিক সংস্কার করে প্রজ্ঞাপন দেওয়া।
প্রসঙ্গত সরকারি চাকরিতে বিদ্যমান কোটা সংস্কারের দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছেন শিক্ষার্থী ও চাকরি প্রার্থীরা। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত এপ্রিলে জাতীয় সংসদে দাঁড়িয়ে ‘কোটাই থাকবে না’ বলে ঘোষণা দেন। এরপর ৫ মাস অতিবাহিত হলেও এখনও জারি হয়নি কোটার প্রজ্ঞাপন। কোটার সংস্কারে গঠিত কমিটি বলছে, বিষয়টি নিয়ে পর্যালোচনা চলছে। শিগগিরই প্রজ্ঞাপন জারি হবে।
/ এআর /
আরও পড়ুন