৫ বছরে সবচেয়ে কম রেমিটেন্স
প্রকাশিত : ২২:২৫, ২ জুলাই ২০১৭ | আপডেট: ০৩:০৩, ৩ জুলাই ২০১৭
বিগত পাঁচ বছরে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্স প্রবাহে বড় ধরনের পতনের মধ্য দিয়েই শেষ হল ২০১৬-১৭ অর্থবছর। সদ্য সমাপ্ত অর্থ বছরে প্রবাসীদের পাঠানো এক হাজার ২৭৬ কোটি ৯৪ লাখ (১২.৭৭ বিলিয়ন) ডলার রেমিটেন্স এসেছে। যা আগের অর্থবছরের চেয়ে ১৪ দশমিক ৪৭ শতাংশ কম।
বাংলাদেশ ব্যাংকের রেমিটেন্স সংক্রান্ত তথ্য অনুযায়ী বিগত পাঁচ বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম রেমিটেন্স এসেছে সদ্য শেষ হওয়া অর্থ বছরে।
২০১১-১২ অর্থবছরে এক হাজার ২৮৪ কোটি ৩০ লাখ (১২.৮৪ বিলিয়ন) ডলার রেমিটেন্স পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা।
এর পরের চার বছরে (২০১২-১৩, ২০১৩-১৪, ২০১৪-১৫ ও ২০১৫-১৬) যথাক্রমে ১৪ দশমিক ৪৬ বিলিয়ন ডলার, ১৪ দশমিক ২২ বিলিয়ন, ১৫ দশমিক ৩১ বিলিয়ন এবং ১৪ দশমিক ৯৩ বিলিয়ন ডলার প্রবাসী আয় দেশে এসেছিল।
পুরো বছরে রেমিটেন্স কমলেও অর্থবছরের শেষ দুই মাসে ঈদের কারণে রেমিটেন্স প্রবাহ বেড়েছিল।
সদ্য শেষ হওয়া জুন মাসে বিভিন্ন দেশে অবস্থানকারী বাংলাদেশিরা ১২১ কোটি ৪৬ লাখ ডলার পাঠিয়েছেন। তার আগের মাস মে মাসে পাঠিয়েছিলেন ১২৬ কোটি ৭৬ লাখ ডলার।
এই দুই মাস ছাড়া বছরের অন্য মাসগুলোতে রেমিটেন্স প্রবাহ ধারাবাহিকভাবে কমেছিল।
নভেম্বর, ডিসেম্বর এবং ফেব্রুয়ারি মাসে রেমিটেন্স এসেছিল ১০০ কোটি ডলারেরও কম। বাকি মাসগুলোতে এসেছে ১০০ কোটি ডলারের সামান্য বেশি।
২০১৫-১৬ অর্থবছরে আগের বছরের চেয়ে রেমিটেন্স কমেছিল ২ দশমিক ৫২ শতাংশ।
রেমিটেন্স কমে যাওয়ার অন্যতম কারণ হিসেবে বিদেশ থেকে অবৈধ পথে টাকা পাঠানোকে দায়ী করছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি।
অন্যদিকে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় শ্রমবাজার মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সৌদি আরবের অর্থনীতির নাজুক অবস্থার কথা বলে আসছে আইএমএফ। সেখানে গিয়ে অনেকের বেকার পড়ে থাকার খবরও আসছে।
বাংলাদেশের রেমিটেন্সের অর্ধেকের বেশি আসে মধ্যপ্রাচ্যের ছয়টি দেশ সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার, ওমান, কুয়েত ও বাহরাইন থেকে।
ডব্লিউএন
আরও পড়ুন