ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪

৫ম শতকের ধ্বংসযজ্ঞের সাক্ষ্য দিচ্ছে কংকাল

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:৪৭, ৬ মে ২০১৮ | আপডেট: ১১:৫৬, ১৪ মে ২০১৮

সম্প্রতি সুইডেনের একটি দ্বীপ থেকে মানব দেহের কংকাল পেয়েছে একদল গবেষক। আর এই কংকাল সাক্ষ্য দিচ্ছে যে, ৫ম শতকে ওই দ্বীপটিতে ব্যাপক হত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হয়।

সুইডেনের ব্যাল্টিক উপকূলের দ্বীপ ওল্যান্ড। এখানকারই একটি এলাকার নাম স্যান্ডবি বার্গ।

২০১১ সাল থেকে শুরু হয় দ্বীপটিতে খননকাজ। পাওয়া যায় ১২ জন মানুষের কংকাল-ফসিল। এগুলো পর্যালোচনা করে গবেষকরা বলছেন যে, কংকালগুলো ৫ম শতকের। আর এই কংকাল থেকে জানা যায় যে, ব্যাপক হত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞের শিকার এই নিহতরা।

উদ্ধার হওয়া কংকালের মধ্যে শিশু, কিশোর এবং প্রাপ্ত বয়স্কদের কংকাল আছে। তবে কোন নারীর কংকাল পাওয়া যায়নি। তবে দেহগুলোকে কখনও দাফন করা হয়নি। হত্যার পর দেহগুলোকে বড় এক পাহাড়ের ঢালে ফেলে রাখা হয়েছিল। দীর্ঘ ১৫শ বছর সেভাবেই পরেছিল লাশগুলো। তবে কালের বিবর্তনে মাটির স্তরে ঢাকা পরে সেগুলো।

এসময় কংকালগুলোর দেহে অলংকারও পাওয়া যায়।  

গবেষকদের ধারণা, শিশু-কিশোর এবং অলংকারের উপস্থিতি প্রমাণ করে যে, এই দ্বীপে নারীর পা পরেছে। তবে কোন কারণে হয়তো নারীদের পরে এখন থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, দ্বীপটি রেওয়াজ আছে যে, মৃতদেহকে আগে পুড়িয়ে ফেলা হতো। তবে এই মানুষদের সৎকারে নেওয়া হয়নি কোন উদ্যোগ। লাশগুলোকে যেভাবে ফেলে রাখা হয়েছিল তেমনই ছিল।

সুইডেনের কালমার কাউন্টি জাদুঘরের প্রত্মতত্ত্ববীদ এবং গবেষক দলের অন্যতম সদস্য লুডভিগ পেপমেহল ডুফে বার্তা সংস্থা সিএনএনকে জানান, “দেহগুলো দাফন বা সৎকার না করার বিষয়টি এই গবেষণার সবথেকে চমকপ্রদ দিক। আমাদের খনন থেকে যে চিত্রটি ফুটে উঠেছে তা সত্যিই অনেক ভয়ানক। পাশাপাশি এই অঞ্চলের দৈনন্দিন জীবন এবং সংঘাতের বিষয়টি নিয়ে গবেষণা করার সুযোগ এখন আমাদের হয়েছে”।

ওই মানুষগুলোকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে হত্যা করার প্রমাণ গবেষক দল পেয়েছে বলেও দাবি করেন লুডভিগ।

১২ জন মানুষের কংকাল সহ বিভিন্ন পশুর কংকালও পায় দ্বীপে গবেষক দল। মোট ২৬টি কংকাল আছে এখন তাদের কাছে।

একটি ঘর থেকে উদ্ধার করা হয় ৯ জন পুরুষ মানুষের লাশ। এদের মধ্যে দেড় থেকে দুই মাস বয়সী শিশুও আছে।

বিগত বেশ কয়েক বছরে ওল্যান্ড দ্বীপ প্রত্নতত্ত্ববীদদের কাছে এক ‘স্বর্ণভূমি’তে পরিণত হয়েছে। গবেষণার জন্য অনেক উপাদান এখানে পাচ্ছেন তারা।

সূত্রঃ সিএনএন

//এস এইচ এস// এআর

  


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি