৫০ শিল্পীর কণ্ঠে ‘আমার সোনার বাংলা’
প্রকাশিত : ১০:২৫, ২৭ মার্চ ২০২১
৫০ শিল্পীর কণ্ঠে নতুন সংগীতায়োজনে তৈরি হয়েছে বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত ‘আমার সোনার বাংলা’। ঢাকার জাতীয় সংসদ ভবন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও সাভারের স্মৃতিসৌধ এলাকায় গানটির দৃশ্য ধারণ শেষে ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে গানটি প্রকাশিত হয়।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদ্যাপন উপলক্ষে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের উদ্যোগে এটি করা হয়েছে।
জাতীয় সংগীতের নতুন সংগীতায়োজন করেছেন কৌশিক হোসেন তাপস। এ আয়োজনে মুক্তিযোদ্ধা ও স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পীদের পাশাপাশি নতুন প্রজন্মের শিল্পীরাও অংশ নেন। এতে কণ্ঠ দেন ২৫ জন পুরুষ ও ২৫ জন নারী কণ্ঠশিল্পী।
শিল্পী তালিকায় আছেন- রফিকুল আলম, খুরশীদ আলম, ফকির আলমগীর, মাহমুদ সেলিম, হামিন আহমেদ, মাকসুদ, হাসান, এস আই টুটুল, সুজিত মুস্তাফা, বালাম, রবি চৌধুরী, মিজান, অর্ণব, মিলন মাহমুদ, আরেফিন রুমি, রাফা, অদিত, পারভেজ, অটামনাল মুন, শামিম, প্রিয়, হাসিব, এবিডি, পুলক ও কৌশিক হোসেন তাপস। আর নারী সংগীতশিল্পীর মধ্যে আছেন শাহিন সামাদ, ফাতেমা তুজ জোহরা, আবিদা সুলতানা, রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা, শামা রহমান, ফাহমিদা নবী, দিলশাদ নাহার কাকলী, আঁখি আলমগীর, মেহরিন, অণিমা রায়, রুমানা ইসলাম, এলিটা, জুলি, তাশফি, লুইপা, দোলা, রেশমি, আনিকা, সিঁথি সাহা, সুনিধি নায়েক, টিনা রাসেল, ঐশী, আর্নিক, পুতুল, আয়শা মৌসুমি।
নতুন প্রজন্মের মধ্যে নতুন আয়োজনের জাতীয় সংগীতকে ছড়িয়ে দেওয়ার প্রচেষ্টা এটি। এ আয়োজন প্রসঙ্গে সরকারের আইসিটি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক জানান, ‘আমাদের আইসিটি বিভাগের পরিকল্পনা ছিল, বঙ্গবন্ধুর শততম জন্মবার্ষিকী ও স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তিকে স্মরণীয় করে রাখতে ৫০ জন শিল্পীর অংশগ্রহণে জাতীয় সংগীতটি নতুন করে তৈরি করার, যাতে মুক্তিযোদ্ধা ও স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পীদেরও অংশগ্রহণ রয়েছে। যাঁরা মুক্তিযুদ্ধে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছেন তাঁদের উপস্থিতির মধ্য দিয়ে আমাদের জাতীয় সংগীতকে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে আরও সুন্দর করে যেন তুলে ধরতে পারি। আমাদের এ আয়োজন সফল করার জন্য সকল শিল্পীকে ধন্যবাদ ও আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।’
জাতীয় সংগীতের নতুন সংগীতায়োজন প্রসঙ্গে কৌশিক হোসেন তাপস জানান, ‘স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর এই বিশেষ ক্ষণে বাংলাদেশ সরকারের তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের পক্ষ থেকে জাতীয় সংগীত নির্মাণের এ দায়িত্ব পাওয়া আমার জন্য সম্মানের ও গর্বের। এতজন গুণী শিল্পীর সম্মিলনে গানটির নির্মাণ নিঃসন্দেহে একটি ঐতিহাসিক অভিজ্ঞতা হয়ে থাকবে।’
মহান স্বাধীনতা দিবসের প্রথম প্রহর থেকে গানবাংলা চ্যানেলসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার হচ্ছে নতুন আয়োজনের এই জাতীয় সংগীত।
এসএ/