’৫২র স্মৃতি রক্ষায় তথ্য ডিজিটাইলজড করার পরামর্শ (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১১:২৭, ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১
ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস জানান দিচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ আব্দুল বরকত স্মৃতি জাদুঘর। এছাড়া ব্যক্তি উদ্যোগেও গড়ে উঠেছে গবেষণা কেন্দ্র। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভাষা আন্দোলনের পথ ধরে স্বাধীনতা এসেছে। তারপরও ভাষা আন্দোলন নিয়ে খুব বেশি গবেষণা নেই। বাহান্ন’র স্মৃতি রক্ষায় গবেষণার পাশাপাশি সব তথ্য ডিজিটাইলজড করার উদ্যোগ নেয়ার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।
রাজধানীর পলাশী মোড়ের ভাষা শহীদ আবুল বরকত স্মৃতি জাদুঘর ও সংগ্রহশালা। জহুরুল হক হলের ভেতরে স্মৃতি জাদুঘর ও সংগ্রহশালার পথচলা শুরু ২০১২ সালের ১২ মার্চ।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র আবুল বরকতের জন্মস্থান ভারতের মুর্শিদাবাদের বাবলা গ্রামে। পরিকল্পনা ছিলো ভাষা শহীদদের জন্মভূমিতে একটি করে জাদুঘর তৈরি। তবে এই বঙ্গে জন্মভিটা না থাকায় বিশ্ববিদ্যালয়েই আবুল বরকতের নামে গড়ে ওঠে জাদুঘরটি।
আবুল বরকত স্মৃতি যাদুঘর ও সংগ্রহশালার পরিচালক ড. আবু মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন বলেন, শহীদ বরকতের মায়ের কবরটা গাজীপুরে অবস্থিত। সেই পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করার পর আমাদের কিছু ছবি দিল তারা। যাত্রা শুরু হলো ছবি দিয়ে, ’৩৭ সাল দিয়ে শুরু করেছি। দেশ ভাগ হলো- ভারত-পাকিস্তান হলো। আমরা ম্যাপের মধ্যে দেখানোর চেষ্টা করেছি দেশটির অবয়বটি।
১৯৪৭ থেকে ৫২ আন্দোলনের স্থির চিত্র দেয়ালজুড়ে। ভাষা সৈনিক আবুল বরকতের ব্যবহার করা বিভিন্ন জিনিসপত্র, মরণোত্তর একুশে পদক, বিশ্ববিদ্যালয়ের সনদ, বাবার কাছে লেখা চিঠি, কিশোর বয়সের ছবিসহ রয়েছে নানা স্মৃতি চিহ্ন।
দোতলার পাঠাগারে ভাষা আন্দোলন নিয়েই আছে চার শতাধিক বই। জাদুঘরের ডিজিটালাইজেন করার পরিকল্পনার কথা জানালেন জাদুঘর ও সংগ্রহশালার পরিচালক।
ড. আবু মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন আরও বলেন, ভাষাআন্দোলন নিয়ে আমাদের মতো সংগ্রহ বাংলাদেশে আর কারোরই নেই। ভাষাআন্দোলন সম্পর্কে প্রায় সাড়ে ৪শ’ বই বের হয়েছে, এর মধ্যে ৪শ’ বই আমাদের এখানে আছে। কোন কোনটির ৩টি কপিও আছে। আমরা উপরের লাইব্রেরি অংশে সফট কপি রাখতে যাচ্ছি। যেখানে কোন গবেষকের যদি উপাদান সংগ্রহ করতে হয় তাদের আর অন্য কোন লাইব্রেরিতে যাওয়ার প্রয়োজন হবে না।
ধানমন্ডির দশ নম্বর রোডে ভাষা সৈনিক কাজী গোলাম মাহবুবের এই বাড়িতে ভাষা আন্দোলন গবেষণা কেন্দ্র ও জাদুঘর।
দেয়ালজুড়ে ভাষাসংগ্রামীদের ছবি, প্রথম শহীদ মিনার, স্মারকগ্রন্থ, ভাষা আন্দোলনের মুখপত্র সাপ্তাহিক সৈনিক ও সিলেটের নওবেলাল পত্রিকার মূল কপি। ভাষা আন্দোলনে শহীদ ৮ বছরের শিশু অহিউল্লাহর পোর্ট্রেটও করা হয়েছে জাদুঘরের উদ্যোগে। আছে চার শতাধিক ভাষা সৈনিকের স্মৃতিচারণমূলক সাক্ষাৎকার ও জীবনবৃত্তান্ত।
সময়ের প্রবাহে ইতিহাসের পাতা থেকে হারিয়ে যাওয়া তথ্যকে খুঁজে এনে তথ্যভান্ডার হিসেবে গড়ে তোলা গবেষণা কেন্দ্রটি আগামী প্রজন্মের জন্য অমূল্য সম্পদ।
ভিডিও-
এএইচ/