ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪

৯ মাসেও উন্মোচিত হয়নি ইবি ছাত্রী উর্মির মৃত্যুরহস্য

ইবি প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১০:৫১, ২২ মে ২০২৩

গত বছরের সেপ্টেম্বরে মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার শ্বশুরবাড়ি থেকে নিশাত তাসনিম উর্মি (২৪) নামে এক তরুণীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। মৃত উর্মি ছিলেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ফোকলোর স্টাডিজ বিভাগের স্নাতক ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। এই ঘটনার পর দীর্ঘ ৯ মাস পেরিয়ে গেলেও বিচার পায়নি তার পরিবার।

রোববার (২১ মে) উর্মি হত্যার বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে তার ২ বছরের শিশু প্রত্যয়, পরিবারের সদস্য এবং বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব ম্যুরালের পাদদেশে মানববন্ধন করে তারা। এ সময় প্রায় দুই শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।

মানববন্ধনকারীরা বলেন, আজকে নিশাতের ২ বছরের ফুটফুটে শিশু আমাদের সঙ্গে মায়ের হত্যার বিচারের দাবিতে মানববন্ধনে শামিল হয়েছে। অনেক বিলম্ব হয়েছে, অনেক কালক্ষেপণ হয়েছে আর নয়। আমরা এই হত্যার উপযুক্ত বিচার চাই। যারা বিবাদী তাদেরকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছিল কিন্তু তারা জামিনে বেরিয়ে এসেছে। বিচারকার্যকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য মামলার নানাবিধ প্রমাণ যা ছিল সব নষ্ট করার জন্য পাঁয়তারা করছে।

এ বিষয়ে নিশাত উর্মির মা বলেন, স্বপ্ন দেখেছিলাম মেয়েটা একদিন মানুষের মত মানুষ হবে। অথচ তাকে অকালে প্রাণ দিতে হলো। আমি আমার সন্তান হত্যার উপযুক্ত বিচার চাই।

মানববন্ধনে নানীর সঙ্গে দাঁড়ায় ‍উর্মির ২ বছরের শিশু সন্তান প্রত্যয়

নিহত উর্মির বাবা জানান, পুলিশ প্রতিবেদন মোতাবেক আমার মেয়েকে গত বছর ৮ সেপ্টেম্বর রাতে আনুমানিক ১০টা থেকে সাড়ে ১০টার মধ্যে হত্যা করা হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে এ পরিবারের কোন মানুষ ঘুমিয়ে পড়ে না। সবাই সেখানে উপস্থিত থাকা অবস্থায় আমার মেয়েটা মারা গিয়েছে। পুলিশি রিপোর্টে বলা আছে তার গলায় আঙ্গুলের কালো ছাপ বিদ্যামান ছিল। গালে কালোচিরা দাগ আছে এবং প্রিন্সের আংটির দাগও আছে। 

তারপর হাসপাতালে থেকে পুলিশ যখন রিপোর্ট করে তখন পরিষ্কার করে হত্যার মামলা নিয়েছে। কিন্তু পরবর্তীতে ময়নাতদন্তের পর সেখানে বলা হয়েছে আত্মহত্যা করেছে। আমরা এটাকে কোনভাবে মেনে নিতে পারিনা। আদালতের বিরুদ্ধে না রাজি প্রতিবেদন দাখিল করেছিলাম। পরবর্তীতে পিবিআই তদন্ত করছে। আমার চাই সুষ্ঠু বিচার হোক এবং সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে বেরিয়ে আসুক কারা জড়িত।

এ প্রসঙ্গে গাংনী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আব্দুর রাজ্জাক বলেন, মামলাটির অধিকতর তদন্তের স্বার্থে পিবিআইর নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।

কুষ্টিয়া পিবিআই জোনের পুলিশ সুপার মোঃ শহীদ আবু সরোয়ার বলেন, মামলাটি আমরা সম্প্রতি হাতে পেয়েছি। সম্পূর্ণ পেশাদারিত্বের সঙ্গে মামলাটি তদন্ত করা হবে।

এএইচ


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি