৯১ স্থাপনায় এডিসের লার্ভা, দেড় লাখ টাকা জরিমানা
প্রকাশিত : ২১:৪৭, ৪ জুলাই ২০২০
এডিস মশা নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে নগরবাসীকে ডেঙ্গু থেকে সুরক্ষা দিতে দ্বিতীয় পর্যায়ে বিশেষ পরিছন্নতা অভিযান বা চিরুনি অভিযান শুরু হয়েছে। নগরীর ৯১টি স্থাপনায় ডেঙ্গুর বাহক এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় সংশ্লিষ্টদের ১ লাখ ৫৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি)।
শনিবার (৪ জুলাই) দ্বিতীয় পর্যায়ের অভিযানে এডিস মশা নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে নগরবাসীকে ডেঙ্গু থেকে সুরক্ষা দিতে দ্বিতীয় পর্যায়ের চিরুনি অভিযানের আজ প্রথম দিনে এ জরিমানা করা হয়।
মেয়র মো. আতিকুল ইসলামের নির্দেশে বছরব্যাপী মশকনিধন কার্যক্রমের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়। এরই অংশ হিসেবে বিশেষ কয়েকটি পর্যায় বিশেষ পরিচ্ছন্নতা অভিযানের (চিরুনি অভিযান) সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। গত ৬ থেকে ১৫ জুন প্রথম পর্যায়ের সফল চিরুনি অভিযান শেষে আজ থেকে দ্বিতীয় পর্যায়ে ১০ দিনব্যপী চিরুনি অভিযানের শুরু করেছে ডিএনসিসি।
আজ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দ্বিতীয় পর্যায়ের অভিযান সফল করতে শুক্রবার রাত ৮ টায় মেয়রের সভাপতিত্বে একটি অনলাইন সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে ডিএনসিসির সকল বিভাগীয় প্রধান, উর্দ্ধতন কর্মকর্তা ও কীটতত্ত্ববিদগণ অংশগ্রহণ করেন।
ডিএনসিসি মেয়র এবার চিরুনি অভিযান চলাকালে ভ্রাম্যমাণ আদালত আরও জোরদার করার নির্দেশ দেন। যেসব ক্ষেত্রে ভবন বা স্থাপনার মালিক পাওয়া যাবে না, সেসব ক্ষেত্রে প্রয়োজনে নিয়মিত মামলা করা হবে। এছাড়াও ডিএনসিসির পক্ষ থেকে শিগগিরই সমন্বিত মশক নিধন ব্যবস্থাপনা বা আইভিএম অনুমোদনের জন্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে যার মাধ্যমে সারাবছরের মশক নিধন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা সহজ হবে। এছাড়াও ৭ জুলাই থেকে গৃহস্থালি বর্জ্যের সাথে সংক্রামক বর্জ্য পাওয়া গেলে জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকি বিবেচনায় সেখানেও জরিমানা করা হবে। এর মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের গৃহস্থালি বর্জ্য পৃথকীকরণের দীর্ঘমেয়াদি যে পরিকল্পনা সেটি বাস্তবায়ন শুরু হবে।
দ্বিতীয় পর্যায়ের ১০ দিনব্যাপী বিশেষ পরিচ্ছন্নতা অভিযানের প্রথম দিনে আজ ১২ হাজার ৬১৯ টি বাড়ি, স্থাপনা, নির্মাণাধীন ভবন পরিদর্শন করে ৯১ টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। এছাড়া ৮ হাজার ৭৬৪ টি বাড়ি ও স্থাপনায় এডিস মশা বংশবিস্তার উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। এসময়ে ১২ টি মামলায় মোট ১ লাখ ৫৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অন্যান্য বাড়ি ও স্থাপনার মালিককে সতর্ক করা হয়েছে।
দ্বিতীয় ধাপে অভিযান পরিচালনার লক্ষ্যে এবারও প্রতিটি ওয়ার্ডকে ১০টি সেক্টরে ভাগ করে প্রতিটি সেক্টরকে ১০টি সাবসেক্টরে ভাগ করা হয়েছে। প্রতিদিন প্রতিটি ওয়ার্ডে
১টি সেক্টরে অর্থ্যাৎ ১০টি সাবসেক্টরে চিরুনি অভিযান পরিচালনা করা হবে। চিরুনি অভিযানে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে ৬ জন চিকিৎসক, ৯ জন কীটতত্ববিদ, ডিএনসিসির ৩ জন কীটতত্ববিদ এবং ডিএনসিসির স্বাস্থ্য বিভাগ ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের কর্মকর্তাগণ প্রত্যক্ষভাবে কাজ করছেন। দীর্ঘমেয়াদি আধুনিক ব্যবস্থাপনার অংশ হিসাবে গতবারের মত এবারও এডিসের লার্ভা প্রাপ্তির স্থানসমূহ এবং প্রজনন উপযোগী পরিবেশসমূহের তথ্য অ্যাপে সংরক্ষণ করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, প্রথম পর্যায়ের ১০ দিনব্যাপী (৬-১৫জুন) চিরুনি অভিযানে ডিএনসিসির ৫৪টি ওয়ার্ডে মোট ১ লাখ ৩৪ হাজার ১৩৫টি বাড়ি, স্থাপনা, নির্মাণাধীন ভবন পরিদর্শন করে মোট ১ হাজার ৬০১টিতে এডিস মশার লার্ভা এবং ৮৯ হাজার ৬২৬টি বাড়ি ও স্থাপনায় এডিস মশা বংশবিস্তার উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। এসময় মোট ২১ লাখ ৮৫ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
এসি
আরও পড়ুন