ঢাকা, শুক্রবার   ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪

‘৯৫ ভাগ মানুষ ভেবেছিল আমাকে দিয়ে হবে না’

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:২৯, ৩০ জানুয়ারি ২০১৮

দীর্ঘ চার বছর পর টেস্ট স্কোয়াডে সুযোগ পেয়ে রোববার রাতেই চট্টগ্রামে জাতীয় দলের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন আব্দুর রাজ্জাক।

বাঁহাতি এই স্পিনার বলেন, ‘সজীব ভাই (বিসিবির লজিস্টিক ম্যানেজার কাওসার আজম) আমাকে ফোন করেছিলেন টিকিট কনফার্ম করে। তখনও আমি খবরটা জানতাম না। উনি আমাকে বললেন, ‘অভিনন্দন’। আমি বললাম, ‘কিসের জন্য? ৫০০ উইকেটের জন্য নাকি?’ উনি বললেন, ‘আরে না, আপনি জাতীয় দলে যোগ দিচ্ছেন এই জন্য।’ এরপর নান্নু ভাইয়ের (প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন) ফোন পেয়ে নিশ্চিত হলাম।’

রাজ্জাক বলেন, ‘আমি খুবই অবাক হয়েছি। আমি চিন্তাও করিনি যে এই সময়ে এমন কিছু। মাথার মধ্যেও ছিল না। হঠাৎ করেই জানতে পারলাম যে দলে নেওয়া হয়েছে। শোনার পরেও বুঝতে পারছিলাম না যে ঠিক কী হচ্ছে? সব কিছু ঠিক আছে কি না!’

কিছুদিন আগেই প্রথম বাংলাদেশি বোলার হিসেবে ফার্স্ট ক্লাস ক্রিকেটে ৫০০ উইকেটের মাইলফলক পেরোলেন বাঁহাতি এই স্পিনার। সে জন্য ত্রিদেশীয় সিরিজের সময় জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের কাছ থেকে পেয়েছেন সন্মাননাও।

এই সুযোগ পাওয়ার মধ্যে ভাগ্যের আনুকূল্য দেখছেন ২০১৪-র আগস্টের ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে নিজের সবশেষ ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলা আব্দুর রাজ্জাক। তাই আরও আগেই সুযোগ পেতে পারতেন কি না, সে প্রশ্নে ঢুকলেনই না। রাজ্জাক বললেন, ‘আগে-পরে নিয়ে এখন আর বলব না। ভাগ্য যখন আপনাকে ডেকে নিয়ে আসবে, ঠিক তখনই ডাক পাবেন। এটা আগে-পরে বলে কথা না।’

তাঁর সুযোগ পাওয়াটা অন্যদের জন্য দৃষ্টান্ত হয়ে গেল বলেও মনে করেন আব্দুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, ‘এটা এখন সবার জন্যই দৃষ্টান্ত হয়ে থাকা উচিত যে কখনোই শেষ না ভাবা। অনেক সময় তরুণ ক্রিকেটারদেরও এভাবে ভাবতে দেখি যে আর বোধ হয় হবে না। আমার মনে হয় কারোরই এ রকম ভাবা উচিত নয়। ভালো খেলতে থাকলে একসময় না একসময় দলের আপনাকে প্রয়োজন হবেই। আপনার জায়গাটায় সুযোগের অপেক্ষায় থাকতে হবে। সেই অপেক্ষা কত দিনের, তা নিয়ে না ভেবে ভালো খেলে যেতে হবে। ৯৫ শতাংশ মানুষই হয়তো ভেবেছিল আমাকে দিয়ে আর হবে না। কিন্তু আমার ভেতরে এই জিনিসটা কাজ করত যে আমি আবারও খেলব।’

একে// এআর


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি