ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ নভেম্বর ২০২৪

‘ব্যারিস্টার মইনুল বিলেতি খাওয়া শিখেছেন, ভদ্রতাটা নয়’ [ভিডিও]

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৮:১২, ২২ অক্টোবর ২০১৮ | আপডেট: ১০:০৮, ২৩ অক্টোবর ২০১৮

ব্যারিস্টার মঈনুল হোসেন বিলেতে বার-অ্যাট-ল পড়তে গিয়ে ইংরেজদের খাবার খাওয়াটা শিখেছেন, ভদ্রতা শিখতে পারেননি বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, সেই আমলে ব্যারিস্টারি পড়তে যাওয়া কম কথা না। কিন্তু তিনি গিয়ে শিখলেন ইংরেজদের খাবার খাওয়ার কায়দা। ইংরেজ খাবার ছাড়া তিনি খেতে পারতেন না। তার অবস্থাটা কাকের ময়ূরপুচ্ছ পরে ময়ূর হওয়ার মতো। তিনি ইংরেজ খাওয়াটা শিখলেন; কিন্তু তাদের ভদ্রতাটা শিখেননি, অ্যাটিকেট শিখেননি, কথা বলা শিখেননি। এটাই হলো বাস্তবতা, এই হলো সেই লোক।

আজ সোমবার বিকাল ৪ টায় গণভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। শেখ হাসিনা তার সদ্য সমাপ্ত সৌদি আরব সফর নিয়ে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

আরো পড়ুন : মইনুল ইত্তেফাকে মার্ডার করে ভাইকে ফাঁসাতে চেয়েছিলেন:প্রধানমন্ত্রী

সংবাদ সম্মেলনে এক নারী সাংবাদিককে ব্যারিস্টার মইনুলের কটু্ক্তির বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন,  ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের বাবা তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়ার পরিবারের সঙ্গে বঙ্গবন্ধু পরিবারের সুসম্পর্কের সুবাদে মঈনুল হোসেনের জীবনের অনেক তথ্যই আমার জানা।

শেখ হাসিনা বলেন, উনি (মইনুল) সেই আমলে ইংল্যান্ড গিয়েছিলেন ব্যারিস্টারি পড়তে। এইটা তো কম কথা না। তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া, উনাকে আমরা মানিক কাকা বলে ডাকতাম। তো কাকা তাকে ব্যারিস্টারি পড়তে পাঠালেন। তিনি ব্যারিস্টারি পাস করে সাহেব হয়ে ফিরলেন। তিনি আর বাংলাদেশি খাবার খেতে পারেন না, তার সাহেবি খাবার দরকার।

আরো পড়ুন :  সুশীলরা সুশীল-ই থাকুক: প্রধানমন্ত্রী

শেখ হাসিনা বলেন, মানিক কাকার স্ত্রী কাকী মায়ের কাছে এসে আফসোস করেন। বলেন, ছেলে তো ইংরেজ খাবার ছাড়া কিছু খায় না। অথচ মানিক কাকা পান্তা খেতে পছন্দ করতেন। তো তার জন্য তখন আলাদা বাবুর্চি রাখতে হলো। সেই যুগে মানিক কাকা ছেলের জন্য ১০০ টাকা দিয়ে বাবুর্চি রাখলেন। ব্যারিস্টারি পড়তে গিয়ে মঈনুল হোসেন ইংরেজ খাওয়াটা শিখলেন; কিন্তু তাদের ভদ্রতাটা শিখেননি, অ্যাটিকেট শিখেননি, কথা বলা শিখেননি।

আরো পড়ুন : ছাল-বাকল মিলে ঐক্য করেছে: প্রধানমন্ত্রী

গত ১৬ অক্টোবর বেসরকারি একটি টিভি চ্যানেলের টক শো’তে সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টিকে ‘চরিত্রহীন’ আখ্যা দেন ব্যারিস্টার মঈনুল হোসেন। এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, একজন নারী সাংবাদিককে তিনি যে ভাষায় আক্রমণ করেছেন তা অত্যন্ত জঘন্য, বাজে। তার বাচনিক ভঙ্গি, অ্যাটিচিউড— সবই খারাপ। তার কাছে কী আশা করব? ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় তো পাকিস্তানের দালালি করেছেন। ইত্তেফাকের সাংবাদিক সিরাজউদ্দিন চৌধুরীকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল রাজাকাররা। এর জন্যও তিনি কম দায়ী নন।

আরো পড়ুন :  মঈনুল পাকিস্তানি হানাদারদের দালালি করতো : প্রধানমন্ত্রী

ব্যারিস্টার মইনুলের অতীত নিয়ে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ১৯৭৫ সালে জাতির পিতাকে হত্যার পর খুনি মোশতাক যে দল করেছিল, সেই দলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল ব্যারিস্টার মইনুলের। উনি কিন্তু পরে একটা দলও করেছিলেন। জাতির পিতার আত্মস্বীকৃত খুনি যারা, তাদের নিয়ে তিনি দল করেছিলেন।

মইনুল খুন করেছেন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইত্তেফাকেও তো মার্ডার করে ভাইকে (বর্তমান পানিসম্পদমন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু) ফাঁসানোর চেষ্টা করেছেন। তাদের যে জমি, সেটা নিয়েও ঝামেলা রয়েছে। তাদের জমি নিয়ে রাষ্ট্রপক্ষের সঙ্গে মামলা আছে। আপনারা সাংবাদিকরা খুঁজে বের করে দেখেন। তার আসলে গুণের শেষ নেই।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, এসব কথা সবার জানার কথা না। আরও জানি, এখন বলব না, পরে বলব।

আরো পড়ুন :আপনার মামলা করেন আমরা ব্যবস্থা নেবো : প্রধানমন্ত্রী

/ এআর /


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি