নারীদের ক্ষমতা অপরিসীম : এষা
প্রকাশিত : ১১:৩৫, ৪ এপ্রিল ২০১৮ | আপডেট: ১২:৫০, ৪ এপ্রিল ২০১৮
বলিউড অভিনেত্রী এষা দেওল। কন্যা সন্তানের মা হয়েছিলেন গত বছর। তারকা দম্পতি হেমা মালিনী ও ধর্মেন্দ্রর কন্যা এশা দেওল। তিনি ভরত তাখতানির স্ত্রী। বিয়ে, সন্তানের জন্মের পর এষা দেওল অভিনয় থেকে অনেকটা দূরত্ব অবস্থান করছিলেন। নতুন খবর হচ্ছে- এষা শুরু করছেন নয়া ইনিংস। রামকমল মুখোপাধ্যায় ও অভ্র চক্রবর্তীর স্বল্প দৈর্ঘ্যের চলচ্চিত্র ‘কেকওয়াক’-এ অভিনয় করছেন তিনি। সম্প্রতি ভারতীয় একটি সংবাদ মাধ্যমে অভিনেত্রীর একটি সাক্ষাৎকার প্রকাশ করা হয়েছে। যা ইটিভির পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো :
প্রশ্ন : মা হওয়ার অনুভূতিটা কেমন?
উত্তর : সত্যি কথা বলতে, এটা কিছুতেই বলে বোঝানো সম্ভব নয়। মা হলেই একমাত্র বোঝা যায়। অন্য ধরনের আত্মবিশ্বাস জেগে ওঠে।
প্রশ্ন : জীবনের এই পর্যায়ে দাঁড়িয়ে নারীত্বকে ব্যাখ্যা করবেন কী ভাবে?
উত্তর : মেয়ে হয়ে জন্মানোই ভাগ্যের ব্যাপার। একই জীবনে মেয়ে, বন্ধু, স্ত্রী, মা ... কত চরিত্র পালন করতে হয়। আসলে নারীদের ক্ষমতা অপরিসীম।
আরও পড়ুন : মা হলেন এষা দেওল
প্রশ্ন : শেষ বার কলকাতায় এসে আপনার মা তো রাধ্যার জন্য তাড়াতা়ড়ি ফিরতে চাইছিলেন।
উত্তর : (হেসে) রাধ্যা আর দারিয়ানের (বোন অহনার ছেলে) সঙ্গে ভীষণ ভাল সম্পর্ক মায়ের। মা এখন নিজেকে স্বয়ংসম্পূর্ণা বলেন। আর নাতি-নাতনি দু’জনেই থাকায় পরিবার যেন সত্যিই সম্পূর্ণ হয়েছে।
প্রশ্ন : ফিরে আসার জন্য স্বল্প দৈর্ঘ্য সিনেমা বাছলেন কেন?
উত্তর : কারণ শর্ট ফিল্মই ভবিষ্যৎ। এর মাধ্যমে কত সুযোগ পাওয়া যায়। আর আমার জন্য বাড়ি, বাচ্চা সামলেও শর্ট ফিল্মে কাজ করতে অসুবিধে হয়নি। তবে অবশ্যই ফিচার ফিল্মেও কাজ করতে চাই।
প্রশ্ন : ওই চলচ্চিত্রে আপনি কি শেফ?
উত্তর : একদম। তবে এটা বলব— অনেক মেয়েই স্বপ্ন দেখেন, নিজের মতো কাজ করে বড় হতে চাওয়ার। কিন্তু নানা প্রতিবন্ধকতার কারণে তা হয়ে ওঠে না। এটা সেই লড়াই এবং উত্তরণের গল্প।
প্রশ্ন : ব্যক্তিগত জীবনে রান্না করেন?
উত্তর : আমি ভীষণ ভালো রান্না করতে পারি। একটা সময় ছিল, যখন আমি আলু সিদ্ধ কি ভাজা— কিছুই পারতাম না। ভরতই আমাকে রান্নার শখটা ধরিয়েছিল। যখন ডেট করতে শুরু করলাম, তখন থেকেই ঝোঁক বাড়তে থাকে। রেসিপির বই, ইন্টারনেট থেকে সাহায্য নিতাম। আমার খুব ভাল এক বন্ধু আছে, সে শেফ। ওর কাছেও টিপ্স নিতাম।
প্রশ্ন : মা হওয়ার কি কঠিন?
উত্তর : খাওয়া, খেলার পর ঘুমোনোর সময় হলেই রাধ্যা জেগে থাকে। খেলা করতেই থাকে। ফলে হজমের সমস্যা হওয়ার ভয় থাকে। এক বার সেটা হলে তো সারা দিন ঘেঁটে যায়।
প্রশ্ন : রাতে কে জাগেন?
উত্তর : আমি আর ভরত— দু’জনেই। আমাদের সঙ্গে একজন অত্যন্ত ভালো নার্স আছেন। তাঁর জন্যই আমি নাচ, নিজের কাজ চালিয়ে যেতে পারি। আমি দু’-তিন দিনের বেশি শহরের বাইরে থাকি না। বাইরে থাকলে ভরত বাচ্চার কাছে থাকে। বিশ্বাস করি, কাউকে না কাউকে সব সময় বাচ্চার কাছে থাকা উচিত।
প্রশ্ন : মা হওয়ার পর ফিটনেস বাড়াতে কসরত করতে হয়েছিল?
উত্তর : প্রথম তিন মাস কিছুই করিনি। চার মাসের মাথায় ওয়েট ট্রেনিং শুরু করি। ক্যালিসথেনিক্স করতাম। সেটা কার্ডিয়োয় সাহায্য করত। নাচ তো আছেই। নাচে শরীর, মন দুই-ই ভাল থাকে। তাই পোস্ট-প্রেগন্যান্সি ডিপ্রেশনও আসেনি কখনও।
প্রশ্ন : এখন তো স্টারকিডও তারকা!
উত্তর : আপনি একটা ছবিও দেখেছেন রাধ্যার? আমি সুপারস্টারের মেয়ে। মা শুরু থেকেই আমাদের আড়ালে রাখার চেষ্টা করেছেন। রাধ্যার ক্ষেত্রেও তাই। একটা সময়ের পর হয়তো সামলানো যাবে না। কিন্তু সেটা স্বাভাবিক ভাবে হলেই ভালো। রাধ্যাকে সাধারণ শৈশব দিতে চাই।
প্রশ্ন : একটা সময়ের পর বড় পর্দা থেকে সরে দাঁড়ালেন কেন?
উত্তর : আমি জীবনে যখন যে ভূমিকা পালন করি, সেটা ভালো করে করার চেষ্টা করি। তা সিনেমার ক্ষেত্রে হোক বা ব্যক্তিগত জীবনে। আমি ঠিক সময়ে ঠিক মানুষকে বিয়ে করেছি। তাই গৃহবধূর মতো জীবন উপভোগ করছিলাম। আবার টিভি শো করেছি, পারফর্ম করেছি। সময় এবং এনার্জির উপর নির্ভর করেই কাজ বেছেছি। সদ্য বিয়ে হওয়ার পর মনে হয়েছিল পরিবারের সঙ্গেই থাকি। তারপর সন্তানের ভাবনা। আমি কোনও কিছুর পিছনে না ছুটে ঠিক সময়ে কাজ করতে চেয়েছি।
প্রশ্ন : রাধ্যাকেও কি অভিনেত্রী বা নৃত্যশিল্পী হিসেবেই দেখতে চান?
উত্তর : আমি ও ভরত সহমত যে, কোনও কিছুই ওর উপরে চাপিয়ে দেব না। নিজের মতো কাজ করুক। তবে সেটা যেন ঠিক কাজ হয়।
প্রশ্ন : ‘কেকওয়াক’ ছাড়া কী করছেন?
উত্তর : রামায়ণ ডান্স ব্যালে করলাম। নতুন ব্যালে, তার প্রযোজনা আছে। এ ছাড়াও একটা কাজ রয়েছে। সেটা ঘোষণার জন্যই তোলা থাক।
সূত্র : আনন্দবাজার
এসএ/