ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১

ফিস্টুলা বুঝবেন কিভাবে, প্রতিকার কী: ডা. আহমেদ তানভীর

প্রকাশিত : ০৩:৩৮ পিএম, ২৮ অক্টোবর ২০১৮ রবিবার

ডা. তানভীর আহমেদ

ডা. তানভীর আহমেদ

মলদ্বারে অনেকগুলো গ্রন্থি থাকে। এগুলোর সংক্রমণের কারণে ফোঁড়া হয়। এক সময় এই ফোঁড়া পেকে যায় এবং ফেটে গিয়ে মলদ্বারের চতুর্দিকের কোনো এক স্থানের একটি ছিদ্র দিয়ে পুঁজ নির্গত হতে থাকে।

মলদ্বারের আশপাশের কোনো স্থানে এক বা একাধিক মুখ দিয়ে মাঝে মাঝে পুঁজ বের হয়ে আসাকেই বলা হয় ফিস্টুলা বা ভগন্দর। মলদ্বারে বিশেষ ধরনের সংক্রমণের কারণেই এটি হয়ে থাকে।

ফিস্টুলা দুই ধরণের

আমাদের কাছে যেসব রোগীরা আসেন তারা সাধারণত দুই ধরনের ফিস্টুলা নিয়ে আসেন। এর একটিকে আমরা (ডাক্তার) বলি সাধারণ ফিস্টুলা। এটি মলদ্বারের মাংসপেশির খুব একটা গভীরে প্রবেশ করে না। ফলে এর চিকিৎসা তুলনামূলকভাবে সহজ।

এ সংক্রান্ত আরো খবর :  শিশুর কোষ্ঠকাঠিন্য কেন হয়, কী করবেন?

আরেকটি হলো জটিল ফিস্টুলা। এটি বেশ কয়েক রকমের হতে পারে। এটা নির্ভর করে ফিস্টুলার শেকড় মলদ্বারের মাংসের কতটা গভীরে প্রবেশ করেছে তার উপর। ফিস্টুলার শেকড় যদিন অনেক ভেতরে পৌঁছায় এবং অপারেশন ব্যর্থ হয় তাহলে রোগী মল আটকে রাখার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলতে পারে।

লক্ষণ

ফিস্টুলা বা ভগন্দর হলে সাধারণত কয়েকটি লক্ষণ দেখা যায়। রোগীদের ভাষ্য অনুযায়ী, মলদ্বার ফুলে যায়, মলদ্বার ব্যথা হয়, পুঁজ বা আঠাল পদার্থ বের হয়।

এমতাবস্থায় আমরা ( ডাক্তার) রোগ নির্ণয়ের জন্য বেশ কয়েকটি পরীক্ষা করি। প্রক্টস্কপি, সিগময়ডস্কপি, কোলনস্কপি, বেরিয়াম এক্স-রে, ফিস্টুলো গ্রাম, এনাল এন্ডোসনোগ্রাফি ইত্যাদি।

তবে অনেক রোগীরই ফোঁড়া ফেটে গিয়ে পুঁজ বের হয়ে গেলে ব্যথা এবং ফোলা কমে যায়। তখন অনেকেই ভাবেন, রোগ ভালো হয়ে গেছে। কিন্তু মাস দুয়েকের ভেতর আবার সমস্যা দেখা দেয়।

আরো পড়ুন : কোষ্ঠকাঠিন্যে যেসব বিপদ হতে পারে

পেশা জীবনের অভিজ্ঞতায় দেখি, আমাদের কাছে যারা ফিস্টুলার সমস্যা নিয়ে আসেন তাদের বেশিরভাগ নানা ক্ষেত্রে অপচিকিৎসার শিকার হয়ে আমাদের কাছে আসেন। এমনও দেখা যায়, তারা হয়তো কোনো রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার করেন যা শেষ পর্যন্ত মলদ্বারের ক্ষতি করে। ঘা হয়ে যায়। মলদ্বার এত সরু হয়ে যায় যে পায়খানাই করতে পারছে না। খুব খারাপ অবস্থা নিয়েই এলে আমাদের কাছে আসেন।

তাই ফিস্টুলা হলে সঠিক সময়ে সঠিক চিকিৎসা নিতে হবে। এ রোগ বেশিদিন বয়ে বেড়ানো ঝুঁকিপূর্ণ।

**পরামর্শদাতা : কনসালটেন্ট, জাপান- বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশীপ হসপাতাল
শ্রুতি লেখক: আলী আদনান

অা অা/ এআর