ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

বিবিসিকে মির্জা ফখরুল

সংলাপে কোথায় ছাড় দেবো তা এখনই বলা সম্ভব নয়

প্রকাশিত : ০৩:৫২ পিএম, ১ নভেম্বর ২০১৮ বৃহস্পতিবার

 

একাদশ জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে বহুল প্রতীক্ষিত রাজনৈতিক সংলাপ শুরু হচ্ছে আজ। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে আজ সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগের বৈঠকের মধ্য দিয়ে এ সংলাপ শুরু হচ্ছে।  

আজ সন্ধ্যায় গণভবনে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া সংলাপে ঐক্যফ্রন্টের পক্ষে ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে বিএনপির কয়েকজন শীর্ষ নেতাসহ ১৬ সদস্যের প্রতিনিধি অংশ নেবেন। এদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের ২১ সদস্যের প্রতিনিধিদের মধ্যে দলটির শরিক ১৪ দলীয় জোটের তিন নেতাও থাকবেন।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, সংলাপ সফল হবে কি হবে না সেটি নির্ভর করছে দু’পক্ষের ছাড় দেওয়ার উপর। যুক্তফ্রন্টের প্রধান শরিক বিএনপি এই সংলাপে কতটুকু ছাড় দেবে তা এখনও স্পষ্ট নয়।

জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট যে সাত দফা দাবি জানিয়েছে, তার মধ্যে খালেদা জিয়ার মুক্তি কিংবা নিরপেক্ষ সরকারের দাবি অন্যতম। মূলত এই দুটি বিষয় নিয়েই দর কষাকষি হতে পারে। বিএনপি এক্ষেত্রে কতটা ছাড় দেবে এ বিষয়ে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আলোচনার আগেই তো আমি আপনাদের বলতে পারবো না, কোন জায়গায় পৌঁছাবো, কোন জায়গায় ছাড় দেব, কোন জায়গা ছাড়বো না। এটা তো আমার পক্ষে এখনই বলা সম্ভব না। আলোচনা হবে। যদি দেখা যায় যে আলোচনা ফলপ্রসু হচ্ছে, তখন পুরো বিষয়টি নিয়েই আলোচনা হবে।

আরো পড়ুন : আ. লীগ-ঐক্যফ্রন্টের সংলাপ: দু’পক্ষ যে বিষয়গুলো ছাড় দিতে পারে

প্রসঙ্গত, জাতীয় ঐক্য ফ্রন্ট তাদের সাত দফা দাবি নিয়ে সংলাপের আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে চিঠি দিয়েছিল। তার ২৪ ঘন্টার মধ্যেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই প্রস্তাব গ্রহণ করে সংলাপের আমন্ত্রণ পাঠান বিরোধী দলের কাছে। বাংলাদেশে অবশ্য গত কয়েক দশকে সরকার এবং বিরোধী দলগুলোর এধরণের যত সংলাপ হয়েছে, তার কোনোটিতেই সমঝোতা হবার কোন নজির নেই। তাই এবারের সংলাপের পরিণতি কী হতে পারে, তা নিয়ে এরই মধ্যে জল্পনা শুরু হয়ে গেছে।

সংলাপে জাতীয় ঐক্য ফ্রন্টের যে দুটি দাবির ব্যাপারে সরকার অনড় অবস্থান নিতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে, তার একটি নির্দলীয় সরকার, অপরটি খালেদা জিয়ার মুক্তি।

খালেদা জিয়াকে ছাড়া কি নির্বাচনে যাবে বিএনপি

দুর্নীতির দুটি মামলায় খালেদা জিয়া দণ্ডিত হওয়ায় তিনি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন কিনা, তা নিয়ে বিতর্ক চলছে। দলের দ্বিতীয় শীর্ষ নেতা তারেক রহমানও দুর্নীতির মামলায় সাজা পেয়েছেন, লন্ডনের নির্বাসিত জীবন থেকে তার দেশে ফেরার কোনো সম্ভাবনা এখনো দেখা যাচ্ছে না। এই দুজনকে ছাড়া বিএনপি নির্বাচনে যাবে কিনা, সেটা একটা বড় প্রশ্ন।

যদি সরকার অন্য কিছু দাবি মেনেও নেয়, তাহলেও কি খালেদা জিয়ার জেলে রেখে বিএনপি নির্বাচনে যাবে?

এটিকে `হাইপোথেটিক্যাল প্রশ্ন` হিসেবে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আলোচনার আগে এ ধরণের কোনো মন্তব্য করা কোনভাবেই সমীচীন নয়।

জাতীয় ঐক্য ফ্রন্টের সাত দফা দাবিকে একটি প্যাকেজ হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, হাজার হাজার কর্মী যখন জেলখানায়, দলের নেত্রী যখন জেলে বন্দী, তখন নির্বাচন কখনোই অর্থবহ হবে না। সেজন্যেই আমি বলছি আলোচনার মাধ্যমে এটির সমাধান করার কথা।

/ এআর /