কোটা আন্দোলনের নেতা রাশেদ তথ্য-প্রযুক্তি আইনে গ্রেফতার
প্রকাশিত : ১৪:৩৮, ১ জুলাই ২০১৮ | আপডেট: ১৬:৪১, ১ জুলাই ২০১৮
কোটা সংস্কার দাবিতে গড়ে ওঠা আন্দোলনের নেতা রাশেদ খানকে তথ্য-প্রযুক্তি আইনে দায়ের করা মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। আজ রোববার দুপুর ১ টার দিকে তাঁকে মিরপুর-১৪ নম্বরের বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
রাশেদ কোটা আন্দোলনের প্লাটফর্ম বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক পদে ছিলেন।
এ বিষয় জানতে চাইলে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (মিডিয়া) অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার ওবায়দুর রহমান বলেন, শাহাবাগ থানায় তথ্য-প্রযুক্তি আইনে করা একটি মামলায় রাশেদকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এর আগে রোববার সকালে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির আইন বিষয়ক সম্পাদক আল-নাহিয়ান খান জয় বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় তথ্য-প্রযুক্তি আইনে মামলাটি করেন। মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শাহাবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসান।
মামলার বাদী আল-নাহিয়ান খান জয় বলেন, কয়েকদিন আগে রাশেদ ফেসবুক লাইভে এসে প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কটুক্তি করেন। এছাড়া ক্যাম্পাসে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির জন্য বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়ে আসছিল। এ ঘটনায় আমি আজ রোববার শাহবাগ থানায় তথ্য-প্রযুক্তি আইনে মামলা করি।
এর আগে, রাশেদ খান নিজে তার ফেসবুক একাউন্ট থেকে লাইভে এসে তাকে তুলে নেওয়া হচ্ছে বলে দাবি করেন। পরিষদের আহবায়ক হাসান আল মামুনও রাশেদকে তুলে নেওয়ার অভিযোগ করেন। তিনি আজ দুপুর ২ টার দিকে একুশে টিভি অনলাইনকে মুঠোফোনে বলেন, আজ দুপুর একটার দিকে রাশেদকে তার মিরপুরের বাসা থেকে তুলে নেওয়া হয়েছে। সাদা পোশাকে পুলিশ এবং তাদের সঙ্গে পোশাকধারী পুলিশ সদস্যও ছিলেন।
এর আগে গতকাল শনিবার বেলা ১১ টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে পূর্বনির্ধারিত সংবাদ সম্মেলনে কোটা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রার্থীরা জড়ো হলে সেখানে হামলা চালানো হয়। কোটা আন্দোলনকারীদের অভিযোগ ছাত্রলীগ এ হামলা চালিয়েছে। এতে পরিষদের যুগ্ম আহবায়ক নুরুল হক নুর গুরুত্বর আহত হন। তাকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল ও পরে বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। যদিও ছাত্রলীগ হামলায় দায় স্বীকার করে নি।
এ সংক্রান্ত আরও খবর
কোটা আন্দোলনের নেতা রাশেদকে তুলে নেওয়ার অভিযোগ
টিআর/ এআর
আরও পড়ুন