দি ডক্টরস্
চোখের বিভিন্ন সমস্যা ও প্রতিকার
প্রকাশিত : ১৬:১৫, ২৭ জানুয়ারি ২০১৮
চোখ একটি স্পর্শকাতর সংবেদনশীল অঙ্গ, যার সাহায্য আমার এই সুন্দর পৃথিবী দেখতে পাই, তার রূপ উপভোগ করি। তাই চোখ অনেক মূল্যবান সম্পদ। এই মূল্যবান সম্পদের রক্ষাবেক্ষণের দায়িত্ব আমাদের সকলের। সময় থাকতে চোখের চিকিৎসা না করলে কত ক্ষতি হতে পারে তা আমরা কখনও চিন্তাও করিনা।
একুশে টেলিভিশনের (ইটিভি) ‘দি ডক্টরস্’ অনুষ্ঠানে আজকের আলোচনার বিষয় ‘চোখের বিভিন্ন সমস্যা ও তার প্রতিকার’। বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন- ডা. হারুন-উর-রশিদ (প্রথিতযশা চক্ষু রোগ বিশেষজ্ঞ, সিনিয়র কনসালট্যান্ট, প্রখ্যাত ল্যাসিক, ফ্যাকো ও গ্লোকমা বিশেষজ্ঞ, ঢাকা আই কেয়ার হাসপাতাল)।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন- ডা. নন্দিনী সরকার। অনুষ্ঠানটি শুনে লিখিত রুপে সাজিয়েছেন- সোহাগ আশরাফ
প্রশ্ন : শিশুরা অনেক সময়ই চশমা পড়তে চায় না। অবহেলা করে। শিশুদের ক্ষেত্রে যাদের পাওয়ারে সমস্যা রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে চশমা পড়া কতটা জরুরী?
উত্তর : আসলে বড়দের কিন্তু চশমা পড়া অতি জরুরী নয়। বড়রা চশমা না পড়লে তার হয়তো কোন লেখা পড়তে অসুবিধা হবে। তিনি ঝাপসা দেখবেন। কখনও চোখ ব্যাথা হতে পারে। মাথা ব্যাথাও হতে পারে। কিন্তু শিশুদের বিষয়টা পুরোপুরি ভিন্ন। ধরুন একটি শিশু অভাব, অনটন বা অবহেলার কারণে বড় বা লম্বা হলো না। কিন্তু বয়স বৃদ্ধির পর যদি অনেক পুষ্টিকর খাবার খাওনো হয় সে কি আর লম্বা হবে? হবে না। ঠিক তেমনি ভাবে ধরুন একটি শিশুর ৫ বছর বয়সে চোখের সমস্যা ছিলো। তখন তার একটি চশমা প্রয়োজন। কিন্তু সেটা যদি না দেওয়া হয় বা না ব্যবহার করা হয় তবে তার সেই ঝাপসা দৃষ্টি সারাজীবনের জন্য ঝাপসাই থেকে যেতে পারে। যেটাকে আমরা লেজি আই বা অলস চোখ বলি।
প্রশ্ন : অলস চোখ সম্পর্কে কিছু বলুন!
উত্তর : শিশুদের অলস চোখ চশমা দিয়ে সমাধান করা যায়। যেমন ধরুন কোন একটি শিশুর চোখ বেকে আছে। তার ক্ষেত্রে দেখা যায় চশমা দেওয়ার পর চোখ অনেকটা সোজা হয়ে আসে। যাদের ক্ষেত্রে চশমা দিয়ে বাকা চোখ সোজা হয় না তাদের জন্য আমরা বিভিন্ন ধরণের ব্যাম দিতে পারি। অথবা প্রয়োজনে আমরা অপারেশন করতে পারি।
প্রশ্ন : চোক হালকা বাকা থাকলে অনেকেই বলেন লক্ষ্মি ট্যারা। এটা কি?
উত্তর : আসলে কোন ট্যারাই কিন্তু লক্ষ্মি নয়। সকল ট্যারা চোখেরই কিন্তু চিকিৎসার করা উচিত।
প্রশ্ন : ল্যাসিক সার্জারি কি?
উত্তর : যাঁদের চোখের পাওয়ার আছে কিন্তু চশমা বা কনট্যাক্ট লেন্স পরতে চান না, তাঁদের জন্য আধুনিক একটি চিকিৎসাব্যবস্থার নাম ল্যাসিক সার্জারি। এক্সাইমার লেজার রশ্মির সাহায্যে চোখের কর্নিয়ায় আকৃতি বা গঠনের পরিবর্তন করে সম্পূর্ণ চোখের পাওয়ারের পরিবর্তন করা হয়। ল্যাসিক-পদ্ধতির অপারেশন এর প্রকারভেদের মাধ্যমে মাইনাস বা প্লাস পাওয়ারকে পরিবর্তন করে বিনা পাওয়ার বা জিরো পাওয়ার করা হয়।
প্রশ্ন : ল্যাসিক সার্জারি কী এবং কেন?
উত্তর : সাধারণত দৃষ্টিজনিত সমস্যা অর্থাৎ দুরের বা কাছের বস্তু দেখতে সমস্যা হওয়া বা ঝাপসা দেখা এধরনের চক্ষু সমস্যার সমাধানের জন্যই ল্যাসিক সার্জারি করা হয়ে থাকে। যারা দেখার সমস্যার কারণে (+) বা (-) চশমা ব্যবহার করেন তাদের ক্ষেত্রেই বেশীরভাগ সময় চিকিৎসকগণ ল্যাসিক সার্জারি করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। তবে ঠিক এগুলো ছাড়াও আরো কিছু চিকিৎসায় ল্যাসিক সার্জারি করা হয়। ল্যাসিক সার্জারিতে Laser এর সাহায্যে মূলত চোখের কর্নিয়ার পুরুত পরিবর্তন করে ঝাপসা দেখা বা কম দেখার সমস্যা দূর করা হয়। যাতে রোগীকে চশমা ব্যবহার করতে না হয় বা ভারী চশমার পরিবর্তে খুব অল্প পাওয়ারের চশমা হলেই চলে।
ল্যাসিক একটি ব্যথাহীন, রক্তপাতহীন, এবং প্রায় ঝুঁকিহীন চক্ষু সার্জারি।
চোখের বিভিন্ন সমস্যা ও প্রতিকার সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানতে ভিডিওটি ক্লিক করুন :
দর্শক আপনার সমস্যা জানিয়ে চিঠি লিখতে পারেন। ইমেইল পাঠাতে পারেন। আমাদের কাছে লিখবার ঠিকানা-
প্রযোজক
দি ডক্টরস্
একুশে টেলিভিশন
জাহাঙ্গীর টাওয়ার
১০, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫
e-mail : thedoctors@ekushey-tv.com
এছাড়া এই অনুষ্ঠান সম্পর্কে আপনার কোন মতামত জানতে ভিজিট করুন -
এসএ/