ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪

দেশবাসীর সাহায্য চেয়েছেন এ্যাপোলোর সেই শিশুটির মা

প্রকাশিত : ১৯:৫৮, ৩ অক্টোবর ২০১৮ | আপডেট: ২৩:০০, ৩ অক্টোবর ২০১৮

সাধারণ মানুষকে সাহায্যার্থে এগিয়ে আসার আবেদন জানিয়েছেন এ্যাপোলো হাসপাতালে আটকে রাখা অসুস্থ শিশুটির মা।

শিশুটির মা দিলু আক্তার বলেন, আমি তো জানতাম না এখানকার চিকিৎসার খরচ কেমন। আমার এলাকার ডাক্তারদের পরামর্শে আমি এখানে ভর্তি করি। কিন্তু পরে বুঝতে পেরে সন্তানকে অন্য হাসপাতালে নিয়ে যেতে চাই। কিন্তু বিল পরিশোধ করতে না পারায় আমার সন্তান কে ছাড়পত্র দিচ্ছে না এ্যাপোলো হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

তিনি বলেন, এখন সাধরণ মানুষ আমাকে সাহায্য করলে আমার মেয়েটিকে অন্য হাসপাতালে ভর্তি করাতে পারবো।

গত ১ অক্টোবর একুশে টেলিভিশন অনলাইনে "টাকা শোধ করতে না পারায় সন্তান আটকে রেখেছে হাসপাতাল" শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এরপর সারা দেশে অসংখ্য হৃদয়বান পাঠক সাহায্যের হাত বাড়াতে চেয়েছেন। শিশুটির মাকে (দিলু আক্তার) কীভাবে সাহায্য করা যায় তা অনেকে জানতে চেয়েছেন।

এ্যাপোলো হাসপাতালের দাবি অনুযায়ী গতকাল ২ অক্টোবর পর্যন্ত তারা ঐ অসুস্থ শিশুটির মায়ের কাছে পাবে ৪ লাখ ৬১ হাজার টাকা। কিন্তু শিশুটির মা দাবি করছে দুপুরে বা রাতে ভাত খাওয়ার টাকাও তার কাছে নেই। এমনকী তার সাথে থাকা ছয় বছরের অন্য ছেলেটিও কয়েকদিন ধরে ক্ষুধার্ত।

শিশুটির মা দিলু আক্তারকে সাহায্য করার জন্য ০১৮২৫-৭০২৮১৫ মোবাইল নাম্বার যোগাযোগ করা যাবে।

দিলু আক্তার ও বাদশা আলম দম্পতির সন্তান ইয়াসমিন আলম। তাদের ছয় বছর বয়সী আরেকটি সন্তান আছে। বাদশা আলম সৌদি আরবে থাকেন দীর্ঘদিন। সৌদি আরবে তার একটি দোকান এক সময় থাকলেও বছর কয়েক আগে নানা আর্থিক টানাপোড়েনে দোকানটি বিক্রি করতে হয়। এখন তিনি অন্যের দোকানে চাকরী করেন।

মাস খানেক আগে দিলু আক্তার ও বাদশা আলম দম্পতির মেয়ের হঠাৎ করে জ্বরে আসে। এরপর দেখা দেয় খিঁচুনী। সাথে সাথে স্থানীয় রাঙ্গুনিয়া হাসপাতালে নেওয়া হলে তারা চট্টগ্রাম ডেলটা হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন। সেখান থেকে বিভিন্ন জনের পরামর্শে মেয়েকে এনে ভর্তি করান রাজধানীর এ্যাপোলো হাসপাতালে। তখনো জানতেন না তিনি কোথায় নিয়ে যাচ্ছেন আদরের সন্তানকে।

একজন মা, যিনি এর আগে কখনো ঢাকায় আসেননি, পৃথিবীর অন্য কোন জটিল সংগ্রামের সাথে যিনি পরিচিত নন, তিনি একা মেয়েকে কোলে নিয়ে, এক হাতে ব্যাগ অন্য হাতে ছেলেকে নিয়েই গত আট সেপ্টেম্বর চলে আসেন এ্যাপোলো হাসপাতালে। তারপর লড়াই। মেয়ের অবস্থার অবনতি হলে তাকে আইসিইউতে নিয়ে যাওয়া হয়।

এদিকে বাড়ী থেকে আনা সামান্য টাকা খরচ হয়। তারপর শেষ সম্বল সামান্য অলংকার বিক্রী করা হয়। সৌদি আরব থেকে বাদশা আলম ও টেনে টুনে দেশে টাকা পাঠান। এভাবে গত তেইশ দিনে খরচ হয় ৩ লাখ একুশ হাজার টাকা। এরপর হাত খালি!

১ অক্টোবর এই প্রতিবেদকের সঙ্গে দিলু আক্তারের কথা হয় এ্যাপোলো হাসপাতালে। তিনি বলেন, আমার বাচ্চাটাকে রিলিজ নিয়ে দেন। আমি আমার মেয়েকে নিয়ে গ্রামে ফিরে যাব। এখানে টাকা শোধ করার সামর্থ্য আমার নেই। প্রতিদিন টাকার পরিমাণ বাড়ছে। এই টাকা শোধ করার সামর্থ্য আমার নেই।

এ্যাপোলো হাসপাতালের বিজনেস ডেভলেপমেন্ট কর্মকর্তা রাকিবুল হাসান বলেন, এতো বড় অংকের টাকা পরিশোধ না করলে আমাদেরকেই বিপদে পড়তে হবে।

এ সংক্রান্ত আরও খবর:


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি